আনমোলের ভিডিয়ো লাইকের পাশাপাশি পেয়েছে অনেক ডিসলাইকও। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া।
‘মোদীজি, মোদীজি, মোদীজি...’— টানা ২৪ ঘণ্টা এই ভাবে মোদী-নাম জপ করলেন ইউটিউবার আনমোল বাকায়া। আর তাতেই এক লাফে দু’হাজার থেকে আট হাজার হয়ে গিয়েছে আনমোলের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা।
গত বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭০তম জন্মদিন। সেই দিনেই মোদীকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি এমন জপ শুরু করেন সকাল থেকে। সেটা টানা চলে পরের দিন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। গোটা সময়টাই ইউটিউবে চলে লাইভ স্ট্রিমিং। দেখার লোকও পেয়েছেন। লাইকের পাশাপাশি মিলেছে অনেক ডিসলাইকও।
কেন এমন করলেন? ভিডিওর সঙ্গে সেটা লিখেছেন ইউটিউবার আনমোল। জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে খারাপ, ভাল অনেক কিছু শুনলেও ব্যক্তিগত ভাবে তিনি শ্রদ্ধা করেন নরেন্দ্র মোদীকে। আনমোল লিখেছেন, ‘‘দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা করেছেন, তার জন্য তাঁকে সমর্থন জানাতে এবং শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্যই এই ভাবনা।’’
আরও পড়ুন: গুগলের শর্ত মেনে নিল পেটিএম, কয়েক ঘণ্টা পরেই ফিরে এল প্লে স্টোরে
বিভিন্ন পোস্টার লাগানো দেওয়ালের সামনে বসে ‘মোদী, মোদী’ জপ করতে দেখা যায় আনমোলকে। তিনি সেখানে লেখেন, সকলেই যেন এই ভিডিওটি কমপক্ষে এক মিনিট সময় ধরে দেখেন। বেশি সময় ধরে দেখলেই ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছবে। মোট কত বার তিনি মোদীর নাম জপ করছেন, তা গোনার জন্য একটি ট্র্যাকারও রেখেছিলেন আনমোল। তাতে দেখা যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ লাখ ৩ হাজার বার মোদীর নাম উচ্চারণ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে বসে নগ্ন ছবি দেখায় মগ্ন থাই সাংসদ ক্যামেরাবন্দি
ইউটিউব ভ্লগার আনমোল বাকায়ার চ্যানেলটি মূলত বিনোদন ও লাইফস্টাইলের। কিন্তু তাতেই প্রিয় নেতার নাম জপ করতে বসেন এই মোদী ভক্ত। তবে বিষয়টা বেশ চ্যালেঞ্জেরও ছিল, জানিয়েছেন আনমোল। টানা এক জায়গায় বসে লাইভ স্ট্রিমিং খুব সহজ ছিল না। বেশ কয়েক বার রীতিমতো ক্লান্ত হয় পড়েন। কিন্তু থামেননি। দেওয়ালে হেলান দিয়ে, লম্বা শ্বাস নিয়ে ফের শুরু করেন জপ।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
গুরুগ্রামের বাসিন্দা আনমোল বলেন, ‘‘কোনও চ্যালেঞ্জ নিলে সেটা শেষ করতেই হয়। মনের জোরে সেটাই করেছি আমি। প্রথম ১২ ঘণ্টা তেমন কষ্ট হয়নি। কিন্তু শেষের দিকে আমি একই সঙ্গে ভগবানকেও ডাকছিলাম সাহায্য করার জন্য।’’ আনমোলের বক্তব্য, জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে নতুন রকমের উপহার দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনেকেরই বক্তব্য, এটা করে আসলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসতে চেয়েছেন গুরুগ্রামের এই যুবক।