মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে নরেন্দ্র মোদী সরকার নয়, এ বার তাঁর নিশানায় একটি বহুজাতিক সংস্থার বিপণি!
মহুয়ার অভিযোগ, তাঁর বাবার জন্য ট্রাউজার্স কিনতে বুধবার ওই সংস্থার দিল্লির একটি বিপণিতে গিয়েছিলেন তিনি। ১,৪৯৯ টাকা দামের একটি ট্রাউজার্স পছন্দও হয়েছিল। কিন্তু কেনার সময় আনসাল প্লাজার ওই বিপণির ম্যানেজার মহুয়ার ইমেল এবং ফোন নম্বর জানতে চান। ম্যানেজারের যুক্তি ছিল, কেনাবেচা সংক্রান্ত বিল তৈরির জন্য যে সফ্টঅয়্যার রয়েছে, তাতে ইমেল এবং ফোন নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার আইন ভেঙেছেন সংশ্লিষ্ট বহুজাতিক সংস্থাটির আধিকারিক। আনসাল প্লাজা থেকেই ঘটনার কথা জানিয়ে টুইট করেন মহুয়া। ট্যাগ করেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। দ্রুত টুইটটি ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে।
এর পর সুপ্রিম কোর্টের এক নামী আইনজীবী মহুয়ার টুইটের জবাবে জানান, কোনও অবস্থাতেই ইমেল এবং ফোন নম্বর না দিতে। তিনি লেখেন, ‘প্রয়োজনে ওই সংস্থাকেই তাদের সিস্টেম (স্বয়ংক্রিয় বিল বানানোর ব্যবস্থা) বদলাতে হবে। অতীতে অন্য একটি সংস্থাও সমস্যায় পড়ে তাদের সিস্টেম বদলেছিল বলে জানান ওই আইনজীবী। সে সময় ওই সংস্থাটি নিজের এক কর্মীর মোবাইল নম্বর দিয়ে পরিস্থিতি সামলেছিল।
শেষ পর্যন্ত এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। দ্বিতীয় টুইটে মহুয়া লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ওই নামী আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিপণনকেন্দ্রের মিষ্টি ম্যানেজার তাঁর নিজের নম্বর দিয়েই আমাকে দোকান থেকে বিদায় (বাবার ট্রাউজার্স-সহ) করলেন।’ সঙ্গে পোস্ট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবীর বক্তব্যের স্ক্রিন শটও।