Uttar Pradesh

অখিলেশের দলের নেতার কন্যার সঙ্গে বিয়ে দেন পুত্রের! বিএসপি নেতাকে তাড়িয়েই দিলেন মায়াবতী

দিন কয়েক আগেই অম্বেডকর নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা এসপি নেতা ত্রিভুবন দত্তের কন্যার বিয়ে হয় বিএসপি নেতা সুরেন্দ্র সাগরের পুত্রের সঙ্গে। উল্লেখ্য, ত্রিভুবন আগে বিএসপিতেই ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৪
Share:

মায়াবতী। —ফাইল চিত্র।

সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র এক নেতার কন্যার সঙ্গে নিজের পুত্রের বিয়ে দিয়েছিলেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র নেতা সুরেন্দ্র সাগর। সেই ‘অপরাধে’ই ওই নেতাকে ‘শাস্তি’ দিলেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। দল থেকে বহিষ্কার করা হল তাঁকে!

Advertisement

সুরেন্দ্র ছিলেন বিএসপির প্রবীণ নেতা। বরেলী ডিভিশনে দলের হয়ে কাজ করেছেন বহু দিন ধরে। রামপুরে বিএসপির পাঁচ বারের জেলা সভাপতি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। দলের সেই পুরনো সঙ্গীর সঙ্গে এ বার বিচ্ছেদ ঘোষণা করলেন মায়াবতী! বিএসপির তরফে প্রথমে সুরেন্দ্রকে রামপুরে দলের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর দল থেকেই বহিষ্কার করে দেওয়া হয় তাঁকে। কেন সুরেন্দ্রকে বহিষ্কার করা হল, তার ব্যাখ্যা করা হয় দলের তরফে। দলবিরোধী কাজ এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে সুরেন্দ্রকে। কিন্তু সেই অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি।

দিন কয়েক আগেই অম্বেডকর নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা এসপি নেতা ত্রিভুবন দত্তের কন্যার বিয়ে হয় সুরেন্দ্রর পুত্রের সঙ্গে। উল্লেখ্য, ত্রিভুবন আগে বিএসপিতেই ছিলেন। পরে দল বদলে অখিলেশ যাদবের দলে যোগ দেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে এসপির প্রার্থী হয়ে জিতে বিধায়ক হন। ওই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন অখিলেশ।

Advertisement

বিএসপির তরফে ‘দলবিরোধী কাজ’-এর কথা বললেও তা মানতে নারাজ সুরেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘আমি শৃঙ্খলাভঙ্গের এমন কোনও কাজ করিনি। আমার একমাত্র দোষ ছিল পুত্র অঙ্কুরের সঙ্গে এসপি বিধায়ক ত্রিভুবনের কন্যার বিয়ে দেওয়া।’’

বিএসপির অন্দরে এমন ঘটনা নতুন নয়। গত নভেম্বরেই প্রশান্ত গৌতমকে দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মায়াবতী। অভিযোগ, দলের অন্যতম নেতা মুনকাদ আলির কন্যার বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মুনকাদ-কন্যা বিধানসভা উপনির্বাচনে এসপির টিকিটে লড়েছিলেন। যদিও মায়াবতী, মুনকাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি।

১৯৯৩ সালে মুলায়ম সিংহের দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠন করেছিলেন মায়াবতী। কিন্তু দু’বছর পরই সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরে। সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নেয় মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। তার পর থেকে আর দুই দলের নেতৃত্বকে কখনও এক ছাতার তলায় দেখা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement