চিকিৎসার অপেক্ষায়।—ছবি পিটিআই।
সিবিআই জুজুর কারণে উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামা মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না এসপি এবং বিএসপি নেতৃত্বকে। সেই পরিসর দখল করতে ওই রাজ্যে বার বার ছুটে যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। বাধ্য হয়েই তাই নড়েচড়ে বসে আজ কংগ্রেস নেত্রীকে নিশানা করেছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তিনি টুইট করে বলেছেন— উত্তরপ্রদেশ নয়, কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে গিয়ে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে সরব হওয়া উচিত প্রিয়ঙ্কার। একই মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথও।
মায়াবতীর বক্তব্য, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক যে কোটা হাসপাতালে ১০০ জন শিশুর মৃত্যু নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুখ বুজে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মতো কোটার হাসপাতালে মৃত শিশুদের মায়েদের সঙ্গেও তিনি দেখা করলে সেটা সঙ্গত হত। তাঁদের সরকারের অবহেলাতেই এই শিশুমৃত্যু ঘটেছে।’’ এখানেই না-থেমে আরও একটি টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘‘কোটায় মৃত শিশুদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা না-করলে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কা যা করছেন, তা নেহাতই রাজনৈতিক সুযোগসন্ধান।’’ অনেকের মতে প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশে সক্রিয় হয়ে ওঠায় চাপে পড়ে গিয়েছেন অখিলেশ যাদব, মায়াবতী। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের গুলিতে রাজ্যে ২০ জনের বেশি নিহত, বিদ্বজ্জনদের ধরপাকড় হলেও অখিলেশ-মায়াবতীকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। অথচ বিজনৌরে নিহতদের পরিবারের কাছে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। লখনউয়ে পুলিশের বাধা এড়িয়ে ধৃত বিক্ষোভকারীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, আজ মায়াবতীর টুইট থেকে স্পষ্ট যে প্রমাদ গুনছেন তিনি। দলের অন্যতম মুখপাত্র সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘‘রাজস্থানের কোটায় শিশুমৃত্যুর ঘটনা একটা বড় ট্রাজেডি। কিন্তু তাকে সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে দেখা উচিত।’’ তিনি জানান, ওই ঘটনায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সরকারের উচিত দেশকে জানানো। কংগ্রেস রাজস্থানে সরকার গড়ার পরে অলওয়ারে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহৌলতকে সঙ্গে নিয়ে রাহুল গাঁধী নিপীড়িতের সঙ্গে দেখা করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
রাজস্থানের শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক আসরে নেমেছেন যোগী আদিত্যনাথও। কোটার উল্লেখ করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বঢরা নিজেরা মহিলা হয়েও রাজস্থানের কোটা হাসপাতালে মৃত শিশুদের মায়ের দুঃখ বুঝতে পারলেন না, এটা দুঃখজনক।’’