Shahi Idgah Mosque

জ্ঞানবাপীর পর শাহি ইদগাহ, মথুরার মসজিদেও চলবে সমীক্ষা, নির্দেশ স্থানীয় আদালতের

দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দুসেনার নেতা বিষ্ণু গুপ্ত আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। অভিযোগ, ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’র উপর তৈরি হয়েছিল ওই মসজিদ। তার প্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে মথুরার আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মথুরা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:১৯
Share:

ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীনে ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিল স্থানীয় আদালত। — ফাইল ছবি।

বারাণসীর জ্ঞানবাপীর পর মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)-এর অধীনে সেখানেও সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিল স্থানীয় আদালত। আগামী ২ জানুয়ারির পর শুরু হবে সেই সমীক্ষার কাজ। ২০ জানুয়ারির পর জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট।

Advertisement

দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দুসেনার নেতা বিষ্ণু গুপ্ত আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। অভিযোগ, ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’র উপর তৈরি হয়েছিল ওই মসজিদ। তার প্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে মথুরার স্থানীয় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জানুয়ারি।

গত কয়েক মাস ধরেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি দাবি করেছে, কাটরা কেশব দেব মন্দির চত্বর থেকে সরাতে হবে শাহি ইদগাহ মসজিদ। তাদের দাবি, কৃষ্ণ যেখানে জন্মেছিলেন, সেখানেই সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিল ওই মসজিদ। বিষ্ণুর আবেদনেও সেই দাবি রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯ থেকে ১৬৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদটি। কাটরা কেশব দেব মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জায়গায়। ৮ ডিসেম্বর বিষ্ণুর আইনজীবী শৈলেশ যাদব বলেন, ‘‘শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় থেকে মন্দির তৈরি পর্যন্ত ইতিহাস তিনি আদালতে জানিয়েছেন। ১৯৬৮ সালে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান সেবা সঙ্ঘ এবং শাহি ইদগাহের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, তা বাতিলেরও দাবি তোলা হয়েছে। আমার মক্কেলের দাবি, ওই চুক্তি বেআইনি।’’

Advertisement

এর আগে মথুরার দেওয়ানি আদালত এই পিটিশন খারিজ করেছিল। জানিয়েছিল, ১৯৯১ সালের প্রার্থনা আইন (ওরশিপ অ্যাক্ট) মেনে এই মামলা গ্রাহ্য নয়। ১৯৯১ সালের প্রার্থনা আইনে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট দেশে যেই ধর্মীয় স্থান যা অবস্থায় ছিল, সে ভাবেই তা থাকবে। এ-ও জানিয়েছিল, এই মামলা গ্রাহ্য হলে বিভিন্ন ধর্মস্থান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের হতে থাকবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে ফের আবেদন করেন হিন্দুত্ববাদীরা। দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের আসল জন্মস্থানে পুজো করার অধিকার তাঁদের রয়েছে।

১৯৯১ সালের প্রার্থনা আইনের আইনের ব্যতিক্রম একমাত্র দেখা গিয়েছিল অযোধ্যা মন্দির-মসজিদ মামলায়। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় ভাঙা হয়েছিল ষোড়শ শতকে তৈরি বাবরি মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি ছিল, রাম মন্দিরের ভগ্নস্তূপে তৈরি করা হয়েছিল সেই মসজিদ। ২০১৯ সালে হিন্দুদের হাতেই মসজিদের জায়গাটি তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জায়গার নির্দেশ দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement