প্রতীকী ছবি।
পুলিশ কনস্টেবলের চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার দ্বাদশ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গেল উত্তরপ্রদেশে। পরীক্ষার শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই দু’টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। আর তার জেরেই প্রবল চাপের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য শিক্ষা দফতর।
বৃহস্পতিবার ছিল দ্বাদশ শ্রেণির গণিত এবং জীববিদ্যার পরীক্ষা। পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে আগরায় ‘অল প্রিন্সিপালস আগরা’ নামে একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে সেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাচক্রে, এই হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপটি চালান একটি কলেজের অধ্যক্ষের পুত্র। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আগরার ‘ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর অফ স্কুলস’ (ডিআইওএস) দীনেশ কুমার পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং একই সঙ্গে ফতেহপুর সিক্রিতে একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ফতেহপুর সিক্রির আতার সিংহ ইন্টার কলেজের অধ্যক্ষের পুত্রের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ওই কলেজেই কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করেন তিনি। রাজ্য শিক্ষা দফতর এই ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করেছে। শিক্ষা দফতরের শীর্ষ আধিকারিক মুকেশ আগরওয়াল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার কথা তাঁরা শুনেছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা তদন্ত করছেন। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
পুলিশ কনস্টেবলের চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। তড়িঘড়ি সেই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। গত ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা হয়েছিল। ৭৫টি জেলায় ২,৩৭০টি কেন্দ্রে সেই পরীক্ষা হয়। ৬০ হাজার ২৪৪টি পদের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন ৪৮ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় রাজ্য প্রশাসন। পরীক্ষা বাতিল করার পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ছ’মাসের মধ্যে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় সত্য আমন কুমার এবং নীরজ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমন কুমার চাকরিপ্রার্থী। আর তাঁকেই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে নীরজের বিরুদ্ধে।
কনস্টেবলের পরীক্ষা বতিল হয়ে যাওয়ায় রাজ্য জুড়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে চাকরিপ্রার্থীদের।