নারায়ণগঞ্জের ফরাজীকান্দার বাসিন্দা মাসুদ রানা ওরফে মাসুমই যে কলকাতায় ধরা পড়া জঙ্গি সাজিদ, সে বিষয়ে এক রকম নিশ্চিত বাংলাদেশ পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদুদ্দিন বলেন, “ভারতে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গি সাজিদই ফরাজীকান্দার মাসুম বলে আমাদের ধারণা। মনা ওরফে মোনায়েম হোসেন তার ভাই।” এসপি জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে সাজিদ সম্পর্কে তাঁরা সবিস্তার তথ্য এখনও পাননি। সে তথ্য পেলে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এনআইএ জানায়, বাংলাদেশের ফরাজীকান্দা গ্রামে সাজিদের বাড়ি। বাবার নাম সিদ্দিক মিয়া।ঁ পরের দিন আনন্দবাজারের প্রতিনিধি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ওই গ্রামে হাজির হয়। সেখানে সাজিদ নামে কাউকে না পেলেও খোঁজাখুঁজির পরে মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তির হদিশ মেলে, জঙ্গি হিসেবে যার পরিচিতি। কিন্তু মাসুদের বাবার নাম পচা মিয়া।ঁ মাসুদের বড়দা ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি মোনায়েম ওরফে মনা স্বীকার করেন, তাঁদের বাবার আসল নাম সিদ্দিক মিয়া।ঁ জেএমবি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাসুদ রানা তাঁর ছোট ভাই। সে-ই সম্ভবত কলকাতায় ধরা পড়েছে। মাসুদ এ-ও স্বীকার করেন, নানা জায়গায় নানা নামে পরিচিত মাসুদ ওরফে মাসুম। হতে পারে সে-ই সাজিদ। ভারতে বুরহান নামে নিজের সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরি করিয়েছিল সাজিদ। মনা জানান, তাঁদের মেজো ভাই বুরহান শেখ। তিনি মালয়েশিয়ায় কাজ করেন। সোমবার আনন্দবাজারে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরই মাসুদের দাদা মোনায়েম হোসেন ওরফে মনাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। জেরার পরে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আদালত তাঁর দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশি সূত্রের খবর, জঙ্গি কাজে জড়িয়ে বগুড়ায় গ্রেফতার হওয়ার পরে মনাই তার জামিনের ব্যবস্থা করে।
পুলিশ জেনেছে, মুর্শিদাবাদের মকিমনগরে ডেরা বাঁধার পরেও গ্রাম ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত মাসুদ। সীমান্ত পেরিয়ে মাঝে মাঝে সে রাজশাহিতেও আসত। বাংলাদেশে কার কার সঙ্গে মাসুদ সম্পর্ক রাখত, পুলিশ এখন সেই তথ্য পেতে চেষ্টা করছে। এ জন্য ফরাজীকান্দা থেকে ইফতেখার নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। গ্রামে মাসুদের বাড়ির পাশেই এই যুবকের ওষুধের দোকান।