বৃষ্টিতে বিপর্যয় উত্তর সিকিমে। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টি। আর তার জেরে আরও একবার ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। যে দৃশ্য পাহাড়বাসীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে গত অক্টোবরের ভয়াবহ স্মৃতিকে। অবিরাম বৃষ্টির জেরে কোথাও ভেসে গিয়েছে রাস্তা, আবার কোথাও পার্ক করে রাখা সারি সারি গাড়ির উপর দিয়ে বইছে ঘোলাজল। পরিস্থিতি এমনই যে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকার লোকজনও।
যেমন ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর সিকিমের মঙ্গন, তেমন একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা সীমানার কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার এলাকাও। কারণ, সিকিমে উৎস হলেও তিস্তা নদী তিস্তা বাজার এলাকা দিয়েই বাংলায় প্রবেশ করছে। ভূপ্রকৃতিগত ভাবে সিকিমের সঙ্গে ওই এলাকার কোনও পার্থক্যই নেই। স্বভাবতই, সিকিমে তিস্তা তাণ্ডব চালালে, তার প্রভাবে তছনছ হওয়ার আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়ে যায় তিস্তা বাজারেরও। গত অক্টোবরে ঠিক যেমন ঘটনা ঘটেছিল তিস্তায় হড়পা বানের জেরে। গত ক’দিনের অবিরাম বৃষ্টিতেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর সিকিমে। বৃহস্পতিবারও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্বাভাস মিলিয়ে ইতিমধ্যেই আকাশভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে উত্তর সিকিমের মঙ্গন, চুংথাং, লাচুং, লাচেন-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। বুধবার রাতে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে বিপর্যয় নেমে আসে উত্তর সিকিমে। রিম্ভিকখোলার কাছেও একই পরিস্থিতি। যার ফলে বিশেষ ভাবে সমস্যায় পড়েছেন মঙ্গন জেলার বাসিন্দারা। প্রশাসন কোমর বেঁধে উদ্ধার এবং ত্রাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উত্তর সিকিমে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা একযোগে কাজও শুরু করে দিয়েছে।