সোনমার্গে তুষারধস। ছবি: এক্স।
গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে তুষারপাত হচ্ছে। কোনও কোনও জায়গায় ভারী তুষারপাতও হচ্ছে। তার মধ্যে সোনমার্গ এবং গুলমার্গের মতো জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলিও রয়েছে। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, ৭ এবং ৮ ফেব্রুয়ারিতে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরে তুষারপাত হবে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কাশ্মীরের পাহাড়ি এলাকায় ভারী তুষারপাত হয়েছে বৃহস্পতিবার। সকালের দিকে আচমকাই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে সোনমার্গে তুষারধস নেমে আসে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চারপাশ তুষারের সাদা চাদরে ঢেকে গিয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, যে হেতু তুষারধসের সতর্কবার্তা আগেই দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকদের, তাই বৃহস্পতিবারের তুষারধসে প্রাণহানির মতো ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
তবে যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে, তা দেখলে শিউরে উঠতে হবে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তুষারের সাদা ‘মেঘ’ পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে। চোখের নিমেষে সেই তুষারধসে নীচে চলে যায় বিশাল এলাকা। যে এলাকায় তুষারধস নামে, তার কাছেই জোজিলা সুড়ঙ্গের কাজ চলছিল। তবে সময়মতো নির্মাণকর্মীরা সরে যাওয়ায় বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা ধসপ্রবণ এলাকাগুলিতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।
শীতের মরসুমের শুরু থেকেই ‘শুখা’ ছিল কাশ্মীরের পাহাড়ি এলাকা। সোনমার্গ, গুলমার্গের মতো পর্যটনস্থলগুলিতে তুষারপাত না হওয়ায় পর্যটকরাও হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই আবহাওয়া বদলে যায় হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলিতে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরে গত কয়েক দিন ধরে তুষারপাত হচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ধসপ্রবণ এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়।