— প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের রানিপুরে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই দেহের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে হতবাক পুলিশ। জানা যায়, পচাগলা দেহটি জনৈক তরুণীর। তাঁকে খুন করে ফেলা হয় জঙ্গলের মধ্যে। কে খুন করল? পুলিশ জানতে পেরেছে, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। সেই যুবকই তাঁকে খুন করেছেন।
গত ২৬ জুলাই রানিপুরের টিবরির কাছে জঙ্গলে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলার ধামপুরের বাসিন্দা পুনিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। ঘটনাচক্রে, একই সময় সিডকুল থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাবা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পুনিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও তা নিয়ে আপত্তি ছিল দুই পরিবারের।
পরিবারের কথা মেনে নিয়ে পুনিত অন্যত্র বিয়ে করে নেন। কিন্তু তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলছিলেন। তরুণীর জন্য অন্য জায়গায় বিয়ের সম্বন্ধ স্থির করে পরিবার। কিন্তু পুনিত নিজে বিয়ে করলেও তরুণীকে ছাড়তে অস্বীকার করেন। তরুণী পুনিতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেন দেন। বদলে নেন নিজের মোবাইল নম্বরও। কিন্তু পুনিত নাছোরবান্দা। শেষ বার কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুনিত তরুণীকে ডেকে পাঠান রানিপুরের একটি নির্জন জায়গায়। অভিযোগ, সেখানেই তরুণীকে খুন করে ঝোপের মধ্যে দেহ ফেলে দেন। তার পর ফিরে যান উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, পুনিত চাকরি সূত্রে উত্তরাখণ্ডে থাকেন। নিজে বিয়ে করে নিলেও তরুণীকে ছাড়তে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু তরুণী যখন নিজে থেকে সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ান, তা সহ্য করতে পারেননি। যার ফলশ্রুতি খুন! পুলিশ পুনিতকে গ্রেফতার করেছে।