হোলির দিন শৌচাগারে দম্পতির রহস্যমৃত্যু। প্রতীকী ছবি।
হোলির দিনেই রহস্যমৃত্যু দম্পতির। শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল তাঁদের দেহ। হোলি উদ্যাপনের পরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। কিন্তু কী ভাবে এই মৃত্যু, তা জানা যায়নি।
ঘটনাটি মুম্বইয়ের ঘাটকোপার এলাকার। সেখানে একটি আবাসনের ছ’তলায় থাকতেন দম্পতি। বুধবার ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকে স্বামী, স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির পরিচারিকা প্রথম তাঁদের দেখতে পান। তার পর পুলিশে খবর দেন পরিচিতরা।
পরিচারিকা জানান, তাঁর কাছে বাড়ির নকল চাবি রাখা থাকত। বুধবার তিনি ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখে চাবি দিয়ে দরজা খোলেন। তার পর দেখেন, শৌচাগারে পড়ে আছেন স্বামী, স্ত্রী দু’জনেই। পরিচারিকা এই দৃশ্য দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে দম্পতির আত্মীয়স্বজনকে খবর দেন। তাঁরা আশপাশের আবাসনেই থাকতেন। আত্মীয়েরা এসে পুলিশে খবর দেন।
পন্থ নগর থানার ডিসিপি পুরুষোত্তম করদ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। দেহগুলি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মৃত ব্যক্তির বয়স ৪২ বছর। মহিলার বয়স ৩৯ বছর।
কী ভাবে হোলি খেলার পরেই তাঁদের মৃত্যু হল, কেনই বা শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হল দেহ, এই সমস্ত প্রশ্ন ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে, দম্পতির আত্মীয়স্বজন এবং পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করছে। দম্পতির মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।
এর আগে হোলির দিন গাজিয়াবাদের এক দম্পতিরও রহস্যজনক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। শৌচাগার থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁদের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, হোলি খেলার পর একসঙ্গে স্নান করতে ঢুকেছিলেন তাঁরা। অনুমান, স্নানঘরে থাকা জল গরম করার যন্ত্র (গিজ়ার) থেকে গ্যাস বেরোনোর কারণে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।