রবিবার শিমলায় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: পিটিআই।
ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। ধস, হড়পা বানে রবিবার হিমাচলে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। গত ৩৬ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৪টি ধস নেমেছে। ১৩টি হড়পা বানের খবর পাওয়া গিয়েছে। ধসের কারণে ৭০০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ। বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর বাড়ছে। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
শিমলার কোটগড় এলাকায় বৃষ্টিতে ধসের কারণে একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনায় একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। কুলুতে ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। শনিবার রাতে চম্বা কাতিয়ান তহসিল এলাকায় ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুকু।
মানালিতে বেশ কয়েকটি দোকান জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। কুলু, কিন্নুর, চম্বায় হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে কয়েকটি গাড়ি। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চাষের জমি। শিমলায় বহু রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সোম এবং মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে হিমাচল সরকার।
৭৩৬টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। রবিবার সকালে মোট ১৭৪৩টি ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবি, বিপাশা, শতদ্রু, সাওয়ান, চন্দ্রভাগা-সহ বেশ কিছু নদীর জলস্তর বাড়ছে। হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা। উত্তর ভারতে গত দু’দিনে দুর্যোগে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।