শ্রীলঙ্কার উপকূলরক্ষী বাহিনী। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাছ ধরতে ধরতে তাঁরা বুঝতেই পারেননি আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে গিয়ে শ্রীলঙ্কায় ঢুকে পড়েছেন। শেষমেশ শ্রীলঙ্কার উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হতে হল তামিলনাড়ুর ১৩ মৎস্যজাবীকে।
উত্তাল সমুদ্র এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে গত কয়েক দিন সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের মৎস্যজীবীদের। কিন্তু শনিবার আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার অনুমতি দেয় প্রশাসন। তার পরই রামেশ্বরম থেকে ৪০০ মৎস্যজীবী মাছ ধরতে রওনা হয়েছিলেন।
তাঁদের মধ্যে ১৩ জন মৎস্যজীবীর একটি দল কাঙ্গেস এবং কাটচাথিবুর মাঝে পৌঁছতেই শ্রীলঙ্কার উপকূলরক্ষী বাহিনী ঘিরে ধরে। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের দু’টি নৌকাও। রামেশ্বরম প্রশাসন সূত্রে খবর, মৎস্যজীবীদের গ্রেফতারের পর মায়িলেট্টি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জাফনায় মৎস্য দফতরের হাতে ওই ১৩ জনকে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে রামেশ্বরম প্রশাসন।
সম্প্রতি ২২ জন মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়েছে শ্রীলঙ্কার আদালত। গত ২২ জুন শ্রীলঙ্কার জলসীমায় ঢুকে পড়ায় ওই মৎস্যজীবীদের আটক করেছিল শ্রীলঙ্কার উপকূলরক্ষী বাহিনী। শ্রীলঙ্কার জলসীমায় আর ঢুকবেন না, এই শর্তসাপেক্ষেই ওই মৎস্যজীবীদের মুক্তি দেওয়া হয়। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, আবার যদি জলসীমা লঙ্ঘন করেন, তা হলে দীর্ঘ সময়ের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হবে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা ঘটল শনিবার।