‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের নির্মাণস্থলে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
অলকানন্দা নদীর ধারে বিস্ফোরণ। ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে ট্রান্সফর্মার ফেটে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই শ্রমিক। আহত আরও অনেকে। মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশকর্মীরও। এ ছাড়া, পিপালকোটির আউটপোস্ট ইন চার্জ এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁরা সকলেই ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ চলাকালীন দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজ চলছে। চামোলি পুলিশের এসপি পরমেন্দ্র ডোভাল জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেন। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আহতেরা চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্য পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হেলিকপ্টারে করে ঋষিকেশ এমসে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’ ঘটনার খবর পেয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং পাঁচ জন হোম গার্ড-সহ ১৬ জন মারা গিয়েছেন। তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলের একটি লোহার রেলিং বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসায় এই দুর্ঘটনা। তবে তদন্তের পর বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানা যাবে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের কারণে অলকানন্দা নদীর উপর সেতুর একটি রেলিং বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসেছিল। সেই সেতুতেই ছিলেন অনেকে। বিদ্যুৎবাহী রেলিংয়ের সংস্পর্শে এসে তাঁরাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই অনেকের মৃত্যু হয়।