সিকিমের রাস্তায় অস্থায়ী সেতুর মাধ্যমে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। গত তিন দিন ধরে সিকিমে টানা বৃষ্টি হয়েছে। একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। যার জেরে পর্যটকেরা বিপদে পড়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর সিকিমে দু’হাজারের বেশি পর্যটক আটকে ছিলেন। শনিবার অনেককে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও ৩০০-র বেশি পর্যটক সিকিমে আটকে আছেন বলে খবর।
সিকিমে ধসের কারণে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাহাড়ি রাস্তায় সারে সারে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। সিকিম সরকারের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয় শনিবারই। লাচেন এবং লাচুংয়ের রাস্তা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকায় অন্তত ২৩৮টি স্থানীয় ট্যাক্সি আটকে আছে। অস্থায়ী কাঠের সেতু বানিয়ে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার সিকিমে আটকে পড়া ২,১০০ পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে। যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি। এ ছাড়া, একটি সরকারি কলেজের ৬০ জন পড়ুয়াও আটকে পড়েন সিকিমের ধসে। সিকিম সরকার উদ্ধারকাজের জন্য ২৩টি বাস এবং ২০৮টি ছোট গাড়ির বন্দোবস্ত করেছে। মঙ্গন জেলার জেলাশাসক জানিয়েছেন, বৃষ্টি এবং ধসের কারণে লাচেন এবং লাচুংয়ে ২,৪০০ জন পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। চুংথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সে দিনের মধ্যেই সমস্ত পর্যটককে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এক দিনে সবাইকে গ্যাংটকে নামিয়ে আনা যায়নি।
পর্যটকদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য উত্তর সিকিম জেলা প্রশাসন দু’টি হেল্পলাইন নম্বর (৮৫০৯৮২২৯৯৭ এবং ৮১১৬৪৬৪২৬৫) খুলেছে। পরিজনেরা চাইলে সেখানে যোগাযোগ করে পর্যটকদের খবর জানতে পারবেন।
দুর্যোগের মাঝে নতুন করে উত্তর সিকিম যাওয়ার অনুমতি আপাতত কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। অনির্দিষ্ট কালের জন্য লাচেন, লাচুং যাওয়া বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়া পর্যটকদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছে সিকিম প্রশাসন।