ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে অন্তর্দেশীয় উড়ান। —ফাইল চিত্র
লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। কিন্তু লকডাউনে টিকিট কেটেও এখনও টাকা ফেরত পাননি বহু যাত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সরকারি-বেসরকারি সব বিমান পরিবহণ সংস্থাই টিকিটের টাকা ফেরাতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের একটা বড় অংশের। যদিও জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সব যাত্রীর টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে অধিকাংশ সংস্থা।
ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছিল, এখনও ৬১.৪ শতাংশ যাত্রী টিকিটের টাকা ফেরত পাননি বলে তাঁদের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলির বেশির ভাগই সরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। তালিকায় রয়েছে স্পাইস জেট, ট্রু জেট-এর মতো সংস্থাও।
তবে ইতিমধ্যেই অনেকে টাকা ফেরত পেয়ে গিয়েছেন। বাকিদেরও ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (টাই)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় ভাটিয়া। তিনি বলেন, ‘‘যাত্রীদের টাকা ফেরত দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। তবে সেই কাজ চলছে খুবই ধীরগতিতে। স্পাইস জেটের ক্ষেত্রেও ধীরে ধীরে ফেরত দেওয়া হচ্ছে এজেন্টদের। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা রয়েছে গো-এয়ারের ক্ষেত্রে। তবে আমাদের আশা, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সব টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।’’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে গত বছরের ২২ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক উড়ান। তার তিন দিন পর ২৫ মার্চ থেকে জারি হয় সম্পূর্ণ লকডাউন। ফলে বন্ধ যায় দেশীয় উড়ানও। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২৫ মার্চ থেকে ৩ মে-র মধ্যে যাঁরা দেশীয় বা আন্তর্জাতিক উড়ানের টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই মতো ডিজিসিএ হলফনামা দিয়ে জানায়, আর্থিক সঙ্কটে বিমান সংস্থাগুলি টাকা ফেরত দিতে না পারলে ‘ক্রেডিট নোট’ দেবে। সেই ক্রেডিট নোট দিয়ে যে কোনও রুটে টিকিট কাটার সুযোগ দেবে বিমান সংস্থাগুলি। কিন্তু সেই ত্রেডিট নোটও অনেকেই পাননি বলে অভিযোগ।