এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের পর দেহ পোড়ানো হয় বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
পরকীয়ার পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। প্রেমিকার ফাঁদে পড়েই প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। প্রেমিকার স্বামী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিকা ও তাঁর স্বামীর এক বন্ধুকে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নয়াগড় জেলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শৈলেন্দ্র জানা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সুনীতা সাহুর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন সুনীতার স্বামী দীপু। এর পরই শৈলেন্দ্রকে খুনের ছক কষেন দীপু। গত ৩ ডিসেম্বর শৈলেন্দ্রকে মাহীপুরে নিজেদের বাড়িতে ডাকেন সুনীতা। সেখানেই শৈলেন্দ্রকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে দীপু, তাঁর বাবা ও এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। খুনের পর শৈলেন্দ্রের দেহ জ্বালিয়ে নিকটবর্তী একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরে শৈলেন্দ্রের পোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সুনীতা সাহু ও দীপুর বন্ধু সূর্য সাহুকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। দীপু ও তাঁর বাবা এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অতীতে কটকে থাকতেন সুনীতা। সেখানেই শৈলেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। সেই আলাপ পরে প্রেমে গড়ায়। গত ২ বছর ধরে কটক থেকে নয়াগড়ে থাকতে শুরু করেছেন সুনীতারা। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে নিয়মিত যেতেন শৈলেন্দ্র। যা একেবারেই ভাল চোখে দেখতেন না সুনীতার স্বামী দীপু। এর পরই তিনি খুনের ছক কষেন।