National News

দ্বিতীয় বার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর পদে খট্টর, শপথ আগামিকাল

বর্তমানে জোট সরকারের কাছে ৫৭টি আসনের দখল রয়েছে। ১০টি আসনে জয় পেয়েছে জেজেপি। তা ছাড়াও সাত জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও আদায় করতে পেরেছেন অমিত শাহ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৩৪
Share:

বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর মনোহরলাল খট্টরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। ছবি: পিটিআই।

দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে যতই ক্ষোভ থাকুন না কেন, ফের হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখা যাবে বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টরকেই। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। প্রত্যাশা মতোই শনিবার পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন তিনি। এর পর এ দিন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্যর সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার দাবি জানান খট্টর। আগামিকাল রবিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন তিনি।

Advertisement

এ দিন দুপুরে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন খট্টর। এর পর সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কাছে হরিয়ানায় সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছি আমরা। রাজ্যপাল সে প্রস্তাব মেনে নিয়ে আমাদের সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামিকাল রাজভবনে দুপুর সওয়া ২টোয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন দুষ্মন্ত চৌটালা।’’

দুষ্মন্ত চৌটালার সঙ্গ পেলেও বিতর্কিত নেতা গোপাল গয়াল কান্ডার হাত ধরছেন না বলে সাফ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

Advertisement

আরও পড়ুন: চোর-ডাকাত, অপরাধী হলেও বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিন, মন্তব্য ঝাড়খণ্ড সাংসদের

এ দিন সকালে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর খট্টরকে পাশে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সরকার গড়ার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর অনুরোধ করব।’’ হরিয়ানার জোট সরকার যে স্বচ্ছ এবং স্থিতিশীল হবে সে বিষয়ে আশাবাদী রবিশঙ্কর। সেই মতো দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি এবং জননায়ক জনতা পার্টির নেতারা। এর পরই আগামিকাল শপথগ্রহণের কথা জানান তাঁরা।

হরিয়ানার ৯০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভার ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার স্বপ্ন দেখলেও ৪০টি আসন দখল করতে পেরেছে বিজেপি। একক দল হিসাবে ম্যাজিক সংখ্যার থেকে ৬টি আসন দূরে। শেষমেশ আসরে নামতে হয় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে। মূলত তাঁরই তৎপরতায় সে রাজ্যে মুখরক্ষা হয়েছে খট্টরের। দুষ্মন্ত চৌটালাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে রাজ্যে বিজেপি এবং জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)-র জোট সরকার নিশ্চিত করেছেন শাহ। দিল্লিতে রাতভর শাহের সেই উদ্যোগে সামিল ছিলেন খট্টরও। তাঁকে এবং দুষ্মন্তকে পাশে নিয়ে শাহ বলেন, ‘‘জনাদেশের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি এবং জেজেপি নেতারা স্থির করেছেন, দুই পার্টি মিলে হরিয়ানায় সরকার গড়বে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির এবং জেজেপি থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন।’’

বর্তমানে জোট সরকারের কাছে ৫৭টি আসনের দখল রয়েছে। ১০টি আসনে জয় পেয়েছে জেজেপি। তা ছাড়াও সাত জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও আদায় করতে পেরেছেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী পদের ভাগ চাই, লিখিত দিন অমিত শাহ: বিজেপিকে শর্ত শিবসেনার

দিল্লিতে জোট সরকার নিশ্চিত হওয়ার পর এ দিন সকালে সেখান থেকে চণ্ডীগড়ে ফিরে আসেন খট্টর। সেখানে বিজেপির পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে করেন তিনি। খট্টর ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসাবেই ছিলেন বিজেপির সাধারণ সচিব অরুণ সিংহ।

এই বৈঠকেই পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন খট্টর। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে একটি স্থিতিশীল সরকারের লক্ষ্যে হরিয়ানায় বিজেপি এবং জেজেপি জোট গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানাতে এর আগেও জোট সরকার ছিল। শনিবার থেকে এই জোট সরকারের উপর কাজ শুরু হবে।’’

খট্টরের এই মন্তব্যের সুর শোনা গিয়েছে জেপিপি নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার কথাতেও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে রূপান্তরের প্রয়োজন রয়েছে। হরিয়ানা যাতে প্রগতিশীল ভাবে অগ্রসর হতে পারে তা নিশ্চিত করতে বিজেপি এবং জেপিপি-কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ ব্যাপারে আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’’ ভাবী উপমুখ্যমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের অগ্রগতি এবং বিকাশই আমাদের লক্ষ্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement