সাইকেল চেপে ভোট দিতে গেলেন খট্টর

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে আজ ভোট কেন্দ্রে পৌঁছতে দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

করনাল ও মুম্বই শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০৩
Share:

সাইকেলে চেপেই ভোটকেন্দ্রে মনোহরলাল খট্টর। সোমবার করনালে। n সাইকেলে চেপেই ভোটকেন্দ্রে মনোহরলাল খট্টর। সোমবার করনালে। ছবি: পিটিআই।

কেউ এসেছেন সাইকেলে। কেউ বা আবার ট্রাক্টরে। ভোট দিতে এসে শেষ মুহূর্তের চমক দেখালেন নেতারা।

Advertisement

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে আজ ভোট কেন্দ্রে পৌঁছতে দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। কারণ, রীতিমতো সাইকেলে সওয়ার হয়ে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে চণ্ডীগড় থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে নিজের শহর করনালে পৌঁছন তিনি। তার পরে কিছুটা রাস্তা ই-রিকশায়, শেষে বুথে পৌঁছতে খট্টর উঠে বসেন সাইকেলে। ভোটের দিন এমন চমকের ব্যাখ্যাও হাজির করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘একটা বিশেষ দিনে মানুষের সামনে বার্তা দেওয়া উচিত। দূষণ কমানো, পরিবেশ রক্ষার কথাই তুলে ধরতে চেয়েছি।’’

পিছিয়ে ছিলেন না জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষ্মন্ত চৌটালাও। সিরসার একটি বুথে আজ তিনি ভোট দিতে এসেছিলেন ট্রাক্টরে চেপে। সঙ্গে স্ত্রী ও মা। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল (আইএনএলডি) থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়েছেন ৩১ বছর বয়সি দুষ্মন্ত। সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী দেবীলালের নাতির ছেলে। চৌটালা পরিবারের অনেকেই এ বার হরিয়ানার ভোটে লড়ছেন। তার মধ্যে রয়েছেন অভয় সিংহ, নয়না চৌটালা, রঞ্জিত সিংহ ও আদিত্য দেবীলাল। তবে দুষ্মন্তকেই দেবীলালের রাজনীতির প্রকৃত উত্তরাধিকারী হিসেবে দেখেন অনেকেই। ভোট দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে দুষ্মন্ত বলেন, ‘‘রাজ্যের মানুষ বদল চাইছেন। তাই বুথে পৌঁছতে গিয়ে এমন একটা যান বেছে নিয়েছি, যা আমাদের পরিচয়।’’

Advertisement

হরিয়ানার দাদরিতে বিজেপির প্রার্থী কুস্তিগীর ববিতা ফোগত। ‘দঙ্গল’ সিনেমা তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। ভোট দিতে এসে তাঁর দিদি গীতা ফোগত বোনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। আর এক কুস্তিগীর গীতার আশা, কুস্তির জগতে যেমন, তেমনি রাজনীতিতেও প্রতিষ্ঠা পাবেন ববিতা। ২০১৪ সালে হেরে যাওয়া আসনে ববিতাকে প্রার্থী করে এ বার জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। অবশ্য এই আসনেই শুধু নয়, খট্টর আজ দাবি করেন, হরিয়ানার প্রায় সর্বত্রই বিজেপির জয় নিশ্চিত। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপির শক্তি দেখে বিরোধীরা পালিয়ে গিয়েছে।’’ আর দুষ্মন্তের পাল্টা দাবি, বিজেপিকে ছুড়ে ফেলবেন রাজ্যের মানুষ।

মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে হারানোর দাবি করেছেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ হিসেবে পরিচিত এনসিপির শীর্ষ নেতা শরদ পওয়ার। ভোট দেওয়ার পরে মুম্বইয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর দাবি, রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। যুব সমাজ বিজেপির প্রতি অসন্তুষ্ট। দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকার উল্টে মহরাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি সরকার গড়বে বলে দাবি করেন তিনি। বিজেপিকে কটাক্ষ করে পওয়ারের মন্তব্য, ‘‘বলা হচ্ছে, কোনও লড়াই নাকি হবে না, এটা এক পক্ষের ভোট। তা হলে (বিজেপির) সবাই কেন ভোটপ্রচারে এলেন। টাকা খরচ হল, শেষ পর্যন্ত সব অস্ত্রই ব্যবহার করা হল। দেবেন্দ্র ফডণবীস থেকে যোগী আদিত্যনাথ— কেউই বাদ রইলেন না।’’ এনসিপি নেতার দাবি, আর্থিক সঙ্কটে সব স্তরে বিপর্যয় নেমেছে। বিজেপিকে এর জবাব দেবেন মহারাষ্ট্রের ভোটাররা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement