Manipur Violence

মণিপুরে পুনর্বাসন এবং তদন্তে নজরদারির জন্য তিন মহিলা বিচারপতির কমিটি সুপ্রিম কোর্টের

তিন মাস ধরে ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় মণিপুরে ৬,০০০-এর বেশি এফআইআর দায়ের করা হলেও গ্রেফতারির সংখ্যা কেন নামমাত্র, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের জবাব দিতে হাজির ছিলেন পুলিশের ডিজি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ১৮:১০
Share:

মণিপুর হিংসা নিয়ে কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য সোমবার একটি কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের গড়া ওই কমিটিতে রয়েছেন হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিচারপতি।

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) শালিনী পি জোশী এবং বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) আশা মেনন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ তদারকির পাশাপাশি, মণিপুর পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত ‘সিট’ হিংসাপর্বের যে ফৌজদারি মামলাগুলির তদন্ত করছে, তা তদারকি করবে ওই কমিটি।

গত ১ অগস্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছিল, ‘‘মণিপুর পুলিশ পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়েছে।’’ গত তিন মাসের হিংসায় রাজ্য জুড়ে ৬,০০০-এর বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। খুন হয়েছেন দেড়শোর বেশি মানুষ। ঘরছাড়ার সংখ্যা ৬০ হাজারের উপর। তবুও গ্রেফতারির সংখ্যা ‘অত্যন্ত কম’ হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হিংসাদীর্ণ ওই রাজ্যের পুলিশ মহানির্দেশক (ডিজি)-কে তলব করা হয়েছিল।

Advertisement

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, সোমবার দুপুর ২টোর মধ্যে সশরীরে হাজির হতে হবে মণিপুর পুলিশের ডিজিকে। সেই নির্দেশ মেনে হাজির ছিলেন মণিপুর পুলিশের ডিজি রাজীব সিংহ। তাঁর উপস্থিতিকে কেন্দ্রের দুই কৌঁসুলি, অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতকে জানান, কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকার গোষ্ঠীহিংসা থামাতে সব রকম চেষ্টা করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement