Illegal Poppy Farming

বিঘার পর বিঘা জমিতে আফিম চাষ? ১১০ একর বেআইনি পোস্ত ক্ষেত ধ্বংস করা হল মণিপুরে

আফিম চাষ বন্ধ করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে মণিপুরের পুলিশ। বৃহস্পতিবার অসম রাইফেল্‌স, বন দফতর এবং জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে উখরুলে এক যৌথ অভিযান চালায় মণিপুর পুলিশ। তাতে ১১০ একর বেআইনি পোস্ত ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০৫
Share:

মঙ্গলবার মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় বেআইনি পোস্ত ক্ষেতে পুলিশি অভিযান। ছবি: এক্স।

মণিপুরের অশান্তি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে আফিম চাষের বাড়বাড়ন্তও! বৃহস্পতিবার মণিপুরের উখরুল জেলায় ১১০ একর বেআইনি পোস্ত চাষের জমি নষ্ট করেছে প্রশাসন। জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, বন দফতর এবং অসম রাইফেলের জওয়ানদের একটি দল বৃহস্পতিবার খামাসম পাহাড়ে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ১১০ একর পোস্তের ক্ষেত। ক্ষেতে আটটি ছোট ছোট ঘর ছিল, সেগুলিও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। সম্প্রতি একটি অভিযানে একসঙ্গে এত পরিমাণ বেআইনি পোস্ত ক্ষেতের সন্ধান বিশেষ মেলেনি। আগে যা মিলেছে তা কখনও ৪০-৫০ একর, কখনও বা আরও কম। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারের অভিযান একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছে মণিপুরের প্রশাসন।

Advertisement

মণিপুরে আফিস চাষ নিয়ে প্রশাসনের উদ্বেগ দীর্ঘদিনের। তা বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপও করেছে প্রশাসন। প্রায়শই বেআইনি পোস্ত ক্ষেত বন্ধ করতে গ্রামে গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। তবে এখনও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। সরকারি হিসাবে গত সাত বছরে ১৯ হাজার একর বেআইনি পোস্ত ক্ষেত ধ্বংস করেছে প্রশাসন। ২০১৭ সাল থেকে মণিপুরের অন্তত ১২ জেলা মিলিয়ে ১৯ হাজার ১৩৫ একর ক্ষেত নষ্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাংপোকপি, উখরুল এবং চূড়াচাঁদপুর জেলায়। সবচেয়ে বেশি কাংপোকপিতে (প্রায় সাড়ে চার হাজর একর)। এর পরেই দ্বিতীয় উখরুল। সেখানে গত সাত বছরে ৩৩৪৮ একর পোস্ত ক্ষেত নষ্ট করা হয়েছে।

প্রশাসনের লাগাতার অভিযানে বর্তমানে বেআইনি পোস্ত ক্ষেত আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়েক এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২-২৩ সালের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে মণিপুরে পোস্ত চাষ প্রায় ৩২ শতাংশ কমেছে। যদিও সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক প্রান্তে পুলিশি অভিযানে বেআইনি পোস্ত ক্ষেতের সন্ধান মিলেছে। মঙ্গলবারও কাংপোকপি জেলায় ১৪ একর বেআইনি পোস্ত ক্ষেত ধ্বংস করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement