রিজ়ার্ভ ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ানের গুলিতে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরে রিজ়ার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরে দুই দফায় হামলা চালাল জনতা। গুলি ও পাথরের ঘায়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। জখম ২৩ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থৌবালে থাকা ৩ নম্বর রিজ়ার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরে চড়াও হয়ে গুলি ও অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করে জনতা। কথা কাটাকাটির মধ্যে রিজ়ার্ভ ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ানের গুলিতে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। জনতা তখন পালালেও, পরে ওই জওয়ানের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। বিকেলে ফের বিরাট জনতা রিজ়ার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরে হামলা হলে সংঘর্ষ হয়। জখম হন দুই জওয়ান ও ২১ জন হামলাকারী। পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
এ দিকে, জনজাতি যৌথ মঞ্চের মত ছাড়াই মণিপুরের ২ নম্বর জাতীয় সড়কে চলা অবরোধ রবিবার উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কুকি জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ কেএনও। শোনা যাচ্ছিল, উত্তর-পূর্বের এক প্রতাপশালী বিজেপি নেতার চাপেই এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এই ঘটনার পরে কুকিদের নিজেদের মধ্যে ক্ষোভ ও মতানৈক্য বাড়ে। সোমবার রাতে কেএনওর মুখপাত্র সেইলেন হাওকিপের লামকার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হল। পুড়েছে তাঁর গাড়িও। তবে কেউ হতাহত হননি। কুকি জঙ্গিদের দুটি মঞ্চ কেএনও ও ইউপিএফ প্রথমে ওই বিজেপি নেতার নাম করেই তাদের গোপন আলোচনা সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছিল। পরে জানায়, ওই নেতা তাঁর নাম বা ওই বৈঠকের কথা প্রচার করতে নিষেধ করেছেন। ততক্ষণে অবশ্য বিবৃতি ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর স্পষ্টীকরণ দিয়ে সেইলেন সোমবার জানিয়েছিলেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্তনেওয়া হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ইউনিফায়েড কমান্ডের বৈঠকের পরে রাজ্যে থাকা সব অবৈধ বাঙ্কার ভেঙে ফেলার যে ঘোষণা করেন তার বিরোধিতা করে জনজাতি যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ বলে, কুকিরা মেইতেইদের আক্রমণ করেনি কিন্তু মেইতেইরা বারবার হানা দিচ্ছে, তাই কুকিদের গ্রাম রক্ষা করতে বাঙ্কার জরুরি। বীরেন মেইতেইদের হামলার সুবিধা করে দিতেই বাঙ্কার ভাঙার ছক কষছেন। তা মানা হবে না। না হলে কুকিরা আরও অরক্ষিত হয়ে পড়বে।