বুধবার থেকেই মণিপুরের ইম্ফল থেকে পার্বত্য এলাকায় বাস পরিষেবা শুরু হল। —ফাইল চিত্র।
ইম্ফল থেকে মণিপুরের পার্বত্য জেলার মধ্যে বাস পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিল এন বীরেন সিংহের সরকার। অশান্ত মণিপুর আবার পুরনো ছন্দে ফেরানোর উদ্যোগ শুরু। তবে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই এক জেলা থেকে আর এক জেলায় চলবে বাস। গত ১৯ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বাস পরিষেবা চালুর প্রয়াস সরকারের।
বুধবার থেকেই মণিপুরে আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে। ইম্ফল থেকে কাংপোকপি হয়ে সেনাপতি এবং ইম্ফল থেকে চুরাচাঁদ হয়ে বিষ্ণুপুর— এই দুই রুটে আবারও বাস পরিষেবা শুরু করার কথা জানিয়েছে মণিপুর সরকার।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিসংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনা দিকে দিকে। সেই হিংসার জেরে এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হাজারের বেশি মানুষ। গত মাসে মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময়কে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। দিন কয়েক পরে অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে আসে। প্রকাশ্যে আসে শিউরে ওঠার মতো ময়নাতদন্তের রিপোর্টও।
তার পর থেকেই মণিপুরের স্পর্শকাতর জেলাগুলির নিরাপত্তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা হয়। বন্ধ হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজ্যের পাঁচ জেলায় জারি করা হয় কার্ফু। তার মাঝেই আবার গত ১৬ নভেম্বর রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। হামলার চেষ্টা হয় মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পৈতৃক ভিটেতেও। পরে ধাপে ধাপে কার্ফু শিথিল করা হলেও এখনও মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক নয়। তার মধ্যেই আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা চালানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হল প্রশাসন।