প্রতীকী ছবি।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাঁকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল দু’হাতে বন্দুক চেপে ধরে নির্ভুল লক্ষ্যে একের পর এক গুলি ফুঁড়ে দিতে উল্টো দিকের মানুষটির শরীরে। উত্তরপ্রদেশের বহুচর্চিত বিধায়ক খুনের ঘটনায় মূল সাক্ষী উমেশ পালের হত্যাকারী সেই যুবককে এনকাউন্টারে খতম করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যদিও এই ঘটনার নেপথ্যে থাকার অভিযোগ রয়েছে যে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে তিনি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
উমেশ হত্যায় অপরাধীদের ছাড়বেন না বলে হুমকি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের তিনি মাটিতে মিশিয়ে দেবেন। সোমবার উমেশের অন্যতম হত্যাকারীকে এনকাউন্টারে শেষ করার খবর দিয়েছেন যোগীর ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় এনকাউন্টারে মৃত ওই যুবকের নাম উসমান ওরফে বিজয় চৌধুরী। এই নিয়ে উমেশ হত্যার পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দ্বিতীয় এনকাউন্টার এটি। তবে এই প্রথম হত্যাকারীদের একজনকে খতম করল পুলিশ। এর আগে খুনিদের ব্যবহৃত এসইউভি গাড়ির চালককে এনকাউন্টারে মেরেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে একজনকে।
২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিকের বিরুদ্ধে। সেই মামলার মূল সাক্ষী ছিলেন রাজুর বন্ধু উমেশ। গত কয়েক বছরে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছিলেন উমেশ। জীবনহানির আশঙ্কায় প্রশাসন দু’জন পুলিশকর্মীকে উমেশের দেহরক্ষী হিসাবে নিয়োগ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেহরক্ষীর উপস্থিতিতেই প্রয়াগরাজের রাস্তায় প্রকাশ্যে উমেশকে খুন করা হয়। পরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম উমেশের দুই দেহরক্ষীও হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান।