যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
বিদ্বেষমূলক বার্তা দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক যুবক। এ বার সেই যুবককেই ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল গোরক্ষপুরের জেলা-দায়রা আদালত। একই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে ওই যুবকের এক সঙ্গীর বিরুদ্ধেও।
সালটা ২০১৭। সে সময় গোরক্ষপুরের সাংসদ ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই বছরেই যোগীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন পারভেজ নামে যুবক। ২০১৮-য় হাইকোর্ট রায় দেয় যোগীকে সাজা দেওয়া যাবে না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন পারভেজ।
অভিযোগপত্রে পারভেজ জানিয়েছেন, ২০০৭-এ গোরক্ষপুরে যে দাঙ্গা হয়েছিল তাতে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন গোরক্ষপুরের তৎকালীন সাংসদ যোগী, বিধায়ক ওয়াইডি সিংহ, মেয়র অঞ্জু চৌধরি এবং রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী শিবপ্রতাপ শুক্ল। গোরক্ষপুর আদালতে পারভেজের বিরুদ্ধে ভিডিয়ো বিকৃত করার পাল্টা অভিযোগ করেন ওয়াই ডি সিংহ।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় কলকাতায় শুরু হল অ্যান্টিজেন টেস্ট, দ্রুত শনাক্ত হবে রোগী
সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ওয়্যার’ পারভেজের অভিযোগকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর থেকেই বার বার হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমনকি দাঙ্গা ও ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ২০১৮-র জুনে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পারভেজ ও মেহমুদ ওরফে জুমন বাবা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিলা তাঁর অভিযোগে পুলিশকে জানান, বিবাহ সম্পর্কিত একটি সমস্যার জন্য জুমন বাবার কাছে যান। জুমন বাবা তখন তাঁকে প্রতিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পারভেজ নামে এক ব্যক্তিও ছিল সেখানে।
পারভেজের আইনজীবী সৈয়দ ফরমান নকভির অভিযোগ, দু’জনের নামে অভিযোগ থাকলেও মহিলা এফআইআরে শুধু পারভেজের নাম উল্লেখ করেছেন। মামলার মূল অভিযুক্ত বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, অধিকাংশই সাক্ষী বলেছেন, অভিযোগপত্রে যে জায়গার উল্লেখ করা হয়েছে সে দিন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি সেখানে। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে পারভেজের আইনজীবী জানিয়েছেন।