রাজস্থান পুলিশের হাতে গ্রেফতার গেমরারাম। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া রাজস্থানের গ্রাম কুমহারো। সেই গ্রামে রাতের অন্ধকারে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন গেমরারাম। কিন্তু প্রেমিকার বাড়ির লোকের তাড়া খেয়ে অন্ধকারে রাস্তা হারিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে যেতেই পাক রেঞ্জার্সের হাতে ধরা পড়ে যান গেমরারাম। তার পর থেকেই পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। ২৭ মাস বন্দি থাকার পর অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ওয়াঘা-অটারি সীমান্তে ভারতীয় সেনার হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। গেমরারামকে সেখান থেকে বারমের পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।
২০২০ সালের নভেম্বর পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন গেমরারাম। তাঁর দাবি, সকাল হতেই সেখানে এক ব্যক্তির কাছে ভারতে ফেরার রাস্তা কোনটা তা জানতে চেয়েছিলেন। তিনি তখন তাঁকে রেঞ্জার্সের হাতে তুলে দেন। তার পর থেকেই জেলে বন্দি ছিলেন গেমরারাম। পাকিস্তানের জেলে কী ভাবে তাঁকে অত্যাচার করা হয়েছে সে কথাও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন গেমরারাম।
তাঁর দাবি, ৬ মাস ধরে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। উল্টো করে ঝুলিয়ে পায়ের নীচে প্রতি দিন লাঠি দিয়ে মারা হত। ঠিক মতো খেতে দেওয়া হত না। একটা অন্ধকার কুঠুরির মধ্যে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। গেমরারামের কথায়, “প্রতি দিনই মারতে মারতে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হত, কোথা থেকে এসেছি? কেন এসেছি? কে পাঠিয়েছে?” এ ভাবে ৬ মাস ধরে একটি জেলে বন্দি থাকার পর করাচির জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে জেলে ৬ মাস বন্দি ছিলেন, সেই জেলে ৭০০ ভারতীয় বন্দি বলেই দাবি করেছেন গেমরারাম। তাঁদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।