কন্যাকে ধর্ষণ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেলেন বাবা। প্রতীকী ছবি।
নিজের মেয়েকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রৌঢ়। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মৃত্যু পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে ওই প্রৌঢ়কে।
তামিলনাড়ুর তিরুপুরের উদুমালপেট গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত প্রৌঢ়। তাঁর বয়স ৫৯ বছর। তাঁর প্রথম পক্ষের তিন সন্তান রয়েছে। যাঁদের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এর পর ১৩ বছর আগে আবার বিয়ে করেন প্রৌঢ়। দ্বিতীয় বিবাহে তাঁর কন্যাসন্তান জন্মায়, যাঁর বয়স ১১ বছর। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে প্রৌঢ়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্ত্রী চলে গেলেও কন্যাকে নিজের কাছেই রেখে দেন অভিযুক্ত।
অভিযোগ, ২০১৯ সালে নাবালিকা কন্যা প্রৌঢ়ের লালসার শিকার হয়। তাকে বাবা মারধর করতেন। মদ খেয়ে একাধিক বার ধর্ষণও করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বাবার অত্যাচারের কথা ঠাকুমাকে জানায় বালিকা। কিন্তু ঠাকুমা তাঁকে এই ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর পরামর্শ দেন।
এর পর ওই বালিকা বাবার অত্যাচারের কথা স্কুলের বন্ধুদের জানায়। তারা তাকে শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যায়। প্রধানশিক্ষিকার কানে গেলে তিনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় প্রৌঢ়কে।
তামিলনাড়ুর তিরুপুর মহিলা আদালতে এই ঘটনার বিচারকার্য চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিচার শেষে রায় দেয় আদালত। প্রৌঢ়কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি, নির্যাতিতা নাবালিকাকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।