—প্রতীকী চিত্র।
রেস্তরাঁ থেকে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে চাটনি নিয়ে রেস্তরাঁর কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাবা এবং ছেলে। তাঁদের বিরুদ্ধে রেস্তরাঁর কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এক জনের মৃত্যুও হয়েছে তাঁদের হাতে। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি চেন্নাইয়ের পল্লবরম এলাকার। পম্মল মেন রোডের উপর আদ্যর আনন্দ ভবন নামের ওই রেস্তরাঁ থেকে খাবার কিনতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত শঙ্কর এবং তাঁর পুত্র অরুণ কুমার। পুলিশ জানিয়েছে, যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর নামও অরুণ। তিনি ওই রেস্তরাঁর সুপারভাইজ়ার হিসাবে কাজ করতেন।
বুধবার বাবা এবং ছেলে রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবার অর্ডার করেন। খাবার পার্সেল করে দিয়ে দিতে বলেন তাঁরা। সঙ্গে বাড়তি খানিকটা চাটনি চান। তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। রেস্তরাঁ থেকে বাড়তি চাটনি দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। ক্রেতারাও ছিলেন নাছোড়। কিছুতেই তাঁরা চাটনি না নিয়ে যাবেন না বলে জানান। বচসা ক্রমে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, বাবা এবং ছেলে মিলে রেস্তরাঁর নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলেন। সেখানেই বাধা দিতে এগিয়ে যান সুপারভাইজ়ার অরুণ। তাঁকেও আক্রমণ করা হয়।
মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন অরুণ। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।