কর্নাটক হাই কোর্ট। ছবি সংগৃহীত।
স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দিহান এক স্বামী অদ্ভুত এক আর্জি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আদালতে। তাঁর দাবি ছিল, স্ত্রীর ‘প্রেমিক’ বলে যাঁকে তিনি সন্দেহ করছেন, সেই ব্যক্তির মোবাইল ফোনের তথ্য তাঁকে দিতে হবে। ‘আবদার’টি পারিবারিক আদালত মেনে নিয়েছিল। কিন্তু পাল্টা একটি মামলা হাই কোর্টে উঠতেই ধাক্কা খেলেন স্বামী। হাই কোর্ট তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চাইলেই কারও ব্যক্তিগত জীবনে এমন দখলদারি করতে পারেন না তিনি।
কর্নাটকের হাই কোর্ট সম্প্রতি ওই পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে খারিজ করে এই রায় দিয়েছে। পারিবারিক আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলার সেই ‘প্রেমিক’। সেই মামলার শুনানিতেই আদালত উক্ত ‘প্রেমিকের’ পক্ষে এবং স্বামীর আর্জির বিপক্ষে রায় দিয়েছে। তবে একই সঙ্গে কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, বিচারক হিসাবে তাঁর কেরিয়ারে এই প্রথম তিনি কোনও অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগের মামলার বিচার করলেন। যে মামলায় ওই অভিযোগটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই।
৩৭ বছর বয়সি এক মহিলা ২০১৮ সালে পারিবারিক আদালতে তাঁর বিয়ের সম্পর্ক শেষ করতে চেয়ে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলাতেই পারিবারিক আদালতে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী। এমনকি স্ত্রীর সম্ভাব্য ‘প্রেমিকের’ নাম জানিয়ে তাঁর মোবাইল ফোনের তথ্যও দাবি করেন তিনি। এই মামলাতেই স্বামীর পক্ষে রায় দিয়েছিল আদালত। যা হাই কোর্ট খারিজ করেছে।