দূর থেকেই দাঁতালের ছবি তুলছিলেন শ্রীকান্ত। ছবি: সংগৃহীত।
হাতির সঙ্গে নিজস্বী তুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। যদিও পালিয়ে কোনও রকমে প্রাণরক্ষা করলেন তাঁরই দুই সঙ্গী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরৌলির আবাপুর জঙ্গলে।
বন দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই তাদের কাছে খবর আসে, একটি দাঁতাল গঢ়চিরৌলির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছে। সেটি আবাপুর এবং মুটনুর জঙ্গলেই ঘোরাফেরা করছে। বৃহস্পতিবার আবাপুর জঙ্গলে দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীকান্ত সাত্রে নামে এক যুবক। জঙ্গলের ভিতরেই ঘোরাফেরা করছিলেন তাঁরা। ছবিও তুলছিলেন।
জানা গিয়েছে, জঙ্গলে শ্রীকান্তরা যখন ঘোরাফেরা করছিলেন, সেই সময় একটি দাঁতাল তাঁদের সামনে চলে আসে। সেটিকে দেখে শ্রীকান্তেরা ভয়ে দূরে সরে যান। দাঁতালটিকে দূর থেকেই তাঁরা নজরে রাখছিলেন। কিন্তু আচমকাই শ্রীকান্ত দাঁতালটির দিকে এগিয়ে যান। খুব কাছে না গেলেও কয়েক ফুট দূর থেকেই দাঁতালের সঙ্গে নিজস্বী তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শ্রীকান্ত নিজস্বী তুলতে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন বুঝে উঠতে পারেননি যে, দাঁতালটি তাঁর খুব কাছে চলে এসেছে। তাঁর বন্ধুরা চিৎকার করে শ্রীকান্তকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি। কিন্তু তার আগেই দাঁতালটি শ্রীকান্তের উপর হামলা করে। তাঁকে পিষে মারে। শ্রীরকান্তের দুই বন্ধুকেও তাড়া করে হাতিটি। কিন্তু তাঁরা কোনও রকমে পালিয়ে রাস্তায় উঠে পড়েন।
শ্রীকান্তের দুই বন্ধু স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। তার পর খবর দেওয়া হয় বন দফতরেও। সেখান থেকে বনকর্মীরা আসেন। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও। তার পর শ্রীকান্তের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নভেগাঁওয়ের বাসিন্দা শ্রীকান্ত। আবাপুর জঙ্গলের আশপাশেই মাটির নীচে কেবল বিছানোর কাজ করছিলেন। তাঁর সঙ্গীরাও একই সঙ্গে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার তাঁর তিন জন ঠিক করেন আবাপুর জঙ্গলে যাবেন। আগেই খবর পেয়েছিলেন, ওই জঙ্গলে একটি হাতি ঘোরাফেরা করছে। জঙ্গল এবং তার সঙ্গে হাতির রোমাঞ্চ উপভোগ করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু শেষমেশ সেই পরিকল্পনার জেরেই প্রাণ গেল শ্রীকান্তের।