ভিডিয়ো বুধবার নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় দেশে। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান না দেওয়ায় রাজধানীতে নিগ্রহের শিকার হলেন এক ব্যক্তি। নিগ্রহকারীর হাতে পায়ে ধরেও নিষ্কৃতি পাননি তিনি। শেষে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ বলতে বাধ্য হন। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে দেশে। বুধবার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে নিগ্রহকারীকে গ্রেফতার করছে।
অভিযুক্তের নাম অজয় গোস্বামী। অভিযোগ, গত বছর দিল্লিতে হওয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাতেও জড়িত ছিলেন তিনি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অজয় ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারছেন এক ব্যক্তিকে। মুখে বলছেন, ‘‘জোর সে বোল হিন্দু্স্তান জিন্দাবাদ। পাকিস্তান মুর্দাবাদ।’’ মার থেকে বাঁচতে নিগ্রহকারী অজয়ের পা জড়িয়ে ধরেন। তবে তাতেও দয়া হয়নি তাঁদের। বন্ধ হয়নি মার। বরং রীতিমতো বিরক্ত হয়েই অজয়কে বলতে শোনা যায় ‘‘পা ছাড় আমার’’। নিগৃহীতকে গালমন্দ করতে শুরু করেন অজয়ের সঙ্গীরাও। তাঁকে লোকসভার সাংসদ এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে বলা হয়। অজয়দের বলতে শোনা যায়, ‘‘বল আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মুর্দাবাদ’’।
দিল্লির খাজুরি খাস এলাকার এই ঘটনার ভিডিয়ো বুধবার নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় দেশে। পরে উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি টুইটারে জানান, ‘নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটি দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অজয়কেও।’
তবে বুধবারের এই নিগ্রহের ঘটনাটির কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তারা জানিয়েছে, ২০২০ সালে নাগরিক আইন নিয়ে দিল্লিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাধানোর অভিযোগ রয়েছে অজয়ের বিরুদ্ধে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ওই সংঘর্ষে ৫০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, নিগৃহীত ব্যক্তির বিরুদ্ধেও ডাকাতি এবং হত্যার মামলাও রয়েছে।