ট্রেনে বসেই মৃত্যু যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।
ট্রেনের জানলার ধারে বসে বসেই মৃত্যু হল এক যুবকের। টেরই পেলেন না সহযাত্রীরা। ওই অবস্থাতেই দেহ নিয়ে ৩০০ কিলোমিটার ছুটল ট্রেন। গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর পরই জানা যায়, যুবকের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই!
রেল সূত্রে খবর, কামায়নী এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরায় মধ্যপ্রদেশের ইটারসি থেকে উঠেছিলেন ওই যুবক। যাওয়ার কথা ছিল বেতুল। রবিবার রাতে ট্রেনে উঠেই জানলার ধারের আসনে বসেছিলেন তিনি। যথাসময়ে ট্রেন গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দেয়। রাত হওয়ায় সহযাত্রীরা কেউ ঘুমোচ্ছিলেন, কেউ ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। জানলার ধারের আসনে বসে যুবকও ঝিমোচ্ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সোমবার সকালে ট্রেন দামোহ স্টেশনে পৌঁছয়। ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পরেও যুবকের কোনও নড়াচড়া না দেখে সহযাত্রীদের কয়েক জনের সন্দেহ হয়। তখনও তাঁরা ভেবেছিলেন যুবক ঘুমোচ্ছেন। তাঁকে জাগানোর জন্য ঝাঁকুনি দিতেই ঢলে পড়ে যান। তখন সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি স্টেশন ম্যানেজারকে খবর দেওয়া হয়। ট্রেনের ওই কামরায় রেলপুলিশ এসে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেতুল থেকে ৩০০ কিলোমিটার ট্রেনের সফরে কেউই টের পাননি যে, তাঁদেরই এক সহযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
রেলপুলিশ জানিয়েছে, যুবকের কাছ থেকে একটি টিকিট উদ্ধার হয়েছে। টিকিটটি ইটারসি থেকে কাটা হয়েছিল। গন্তব্যস্থল ছিল বেতুল। যুবকের মোবাইল থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।