প্রেমে জড়িয়ে ভুয়ো মেল বিমান ছিনতাইয়ের

ই-মেলে বিমান ছিনতাইয়ের হুঁশিয়ারি পেয়ে গত ১৫ এপ্রিল তড়িঘড়ি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল মুম্বই, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, মেলটি ভুয়ো।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৭
Share:

ই-মেলে বিমান ছিনতাইয়ের হুঁশিয়ারি পেয়ে গত ১৫ এপ্রিল তড়িঘড়ি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল মুম্বই, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, মেলটি ভুয়ো। ভামশি কৃষ্ণ নামে হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী সেটি পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আজ তাঁকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশের টাস্ক ফোর্স।

Advertisement

কেন ওই মেল পাঠিয়েছিলেন কৃষ্ণ? সরকারি ভাবে কিছু বলতে চাননি পুলিশকর্তারা। কিন্তু পুলিশকে উদ্ধৃত করে একটি সূত্রের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে ওই ব্যক্তির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জটিলতা। সূত্রটির দাবি, বছর বত্রিশের পর্যটন ব্যবসায়ী কৃষ্ণ বিবাহিত, তাঁর একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু কিছু দিন আগে ফেসবুকের আলাপে চেন্নাইয়ের এক মহিলার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মহিলা চাইছিলেন, কৃষ্ণের সঙ্গে মুম্বই-গোয়া বেড়াতে যেতে। কিন্তু কৃষ্ণের কাছে অত টাকা ছিল না। তাই তিনি চেন্নাই থেকে মুম্বইয়ের বিমানের একটি ভুয়ো টিকিট বানিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে মেলে পাঠান। সূত্রের দাবি, নির্দিষ্ট দিনে চেন্নাই বিমানবন্দরে গিয়ে কৃষ্ণর প্রেমিকা ওই টিকিট দেখিয়ে জানতে পারেন, সেটি ভুয়ো। তিনি কৃষ্ণকে তা জানান। তখনই অন্য ফন্দি আসে কৃষ্ণর মাথায়। খানিকটা সময় চেয়ে নিয়ে সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ‘ভামসি চৌধুরি’ নামে মহিলার পরিচয়ে ভুয়ো ই-মেল আইডি বানান। তা থেকেই মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার এবং তিন শহরের বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে মেল পাঠান। তার পর প্রেমিকাকে ফোন করে বলেন, তাঁর টিকিট বৈধ ছিল। কিন্তু ‘হাইজ্যাক অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে বলে সেটি বাতিল করা হয়েছে। সে কথা বিশ্বাস করে বাড়িও ফিরে যান ওই মহিলা। তত ক্ষণে তিন বিমানবন্দরে জারি হয়েছে সতর্কতা।

ভুয়ো ই-মেলে কৃষ্ণ লিখেছিলেন, ছ’জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে তিনি বলতে শুনেছেন, ‘‘২৩ জনকে এখান থেকে আলাদা হতে হবে। তিন শহরে গিয়ে বিমান ধরে সেগুলো অপহরণ করতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মা-ছেলেকে হারানোর পণ অমিত শাহের

ওই তিন শহরই হল হায়দরাবাদ, মুম্বই ও চেন্নাই। মেলে কৃষ্ণ লেখেন, ‘‘ওরা যা বলছিল, তা ঠিক না-ও হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হল, গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো উচিত।’’ ওই মেল পাওয়া মাত্র অন্য দুই রাজ্যকে সতর্ক করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সিআইএসএফের ডিজি ও পি সিংহ জানিয়েছেন, তিন বিমানবন্দরেরই নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায়, গোটাটাই ভুয়ো। শেষমেশ সাইবার কাফের আইপি অ্যাড্রেস ও সিসিটিভি-র সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় কৃষ্ণকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement