সম্প্রতি অনুগামীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় গভীর চিন্তায় পড়েছিলেন সন্দীপ। প্রতীকী ছবি।
অনুগামী (ফলোয়ার) বাড়ানোর ঝোঁক চেপে গিয়েছিল। কী ভাবে অনুগামী বাড়ানো যায় তার ফিকির খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। শেষমেশ নিজের স্ত্রীকেই অনুগামী বাড়ানোর কাজে লাগালেন এক ব্যক্তি। তা-ও আবার গোপনে।
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের বাসিন্দা সন্দীপ। সার্কাসে কাজ করেন তিনি। ফেসবুকে নিজের ভিডিয়ো ছাড়েন ঘন ঘন। অনুগামী কত বাড়ল, কত লাইক পড়ল বা শেয়ার হল, তা সর্ব ক্ষণ লক্ষ রাখেন। কিন্তু সম্প্রতি অনুগামীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় গভীর চিন্তায় পড়েছিলেন সন্দীপ। মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন অনুগামী বাড়ানোর জন্য। আর তা করতে গিয়ে এমন কাজ করে বসলেন যে, শেষমেশ তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হল।
স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন সন্দীপ। স্ত্রী তখন স্নান করছিলেন। সেই অবস্থাতেই তিনি ভিডিয়ো কলটি ধরেন। আর স্ত্রীর স্নান করার সেই দৃশ্য তাঁর অগোচরে রেকর্ডিং করতে থাকেন সন্দীপ। তার পর সেই ভিডিয়ো ফেসবুকে ছাড়েন।
ভিডিয়োটি ছাড়ামাত্রই হু হু করে সেটি শেয়ার হতে থাকে। ভিডিয়োটি সন্দীপের স্ত্রীর কাছেও পৌঁছয়। নিজের ভিডিয়ো দেখার পর তিনি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন। ভিডিয়ো এবং সময় মিলিয়ে দেখার পর তিনি বুঝতে পারেন এই কাজ তাঁর স্বামীরই করা। এর পরই সন্দীপকে দ্রুত ওই ভিডিয়ো মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করেন। অভিযোগ, সন্দীপ স্ত্রীর কথায় কান দেননি। ভিডিয়োটি মুছতেও অস্বীকার করেন তিনি।
এর পরই মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন। স্ত্রী পুলিশের কাছে যেতেই সন্দীপ ভিডিয়োটি মুছে ফেলেন। ধরা পড়ার ভয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও নিষ্ক্রিয় করে দেন। কিন্তু তত ক্ষণে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।