POCSO Case

নাবালিকার কাঁধে হাত, জামা ধরে টানও যৌন হেনস্থা, তিন বছরের কারাদণ্ড হল যুবকের

নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিল। ওই সময় অভিযুক্ত তাকে জাপটে ধরেন। তিনি স্কুলছাত্রীর জামাকাপড়ে টান দেন বলে অভিযোগ। ওই সময় নির্যাতিতার কাকা ঘটনাস্থলে এসে পড়েন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৯
Share:

মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

বালিকার কাঁধে হাত রাখা এবং তার পরনের জামা ধরে টান দেওয়াও যৌন লালসার প্রকাশ। এমনই পর্যবেক্ষণের পর যৌন নির্যাতনে এক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ইঙ্গিতের মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা যায়।

Advertisement

মামলায় জানানো হয়, নবম শ্রেণির এক ছাত্রী এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিল। ওই সময় অভিযুক্ত তাকে জাপটে ধরেন। তাঁর উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। তিনি স্কুলছাত্রীর জামাকাপড়ে টান দেন। ওই সময় নির্যাতিতার এক কাকা ঘটনাস্থলে এসে পড়েন। অভিযুক্তকে ধরতে গেলে তিনি হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ওই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। মামলা রুজু হয়। চার্জশিটও পেশ করা হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে হাই কোর্ট অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে।

বিচারপতি প্রেম নারায়ণ সিংহের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ওই ঘটনার সময় অভিযুক্তের বয়স ছিল ২২ বছর। তিনি নাবালিকার জামাকাপড় টেনে তার কাঁধে হাত রেখেছিলেন। এই আচরণটি স্পষ্টতই অভিযুক্তের যৌন অভিপ্রায় নির্দেশ করেছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারা দেওয়া যায়। এবং সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে আদালত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, যৌন হেনস্থার উদ্দেশ্য ছিল অভিযুক্তের।’’ এর পর ওই যুবককে তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি, ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement