জুতো পেয়ে আবেগতাড়িত রৌনক গুর্জর এবং তাঁর মা। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের দেহের চামড়া দিয়েই মায়ের জন্য জুতো বানালেন যুবক। সেই জুতো নিজের হাতে মায়ের পায়ে পরিয়েও দিলেন। জানালেন, রামায়ণ থেকে মাতৃভক্তির এই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা রৌনক গুর্জর। জানিয়েছেন, তিনি রামায়ণের ভক্ত। রোজ এক বার করে রামায়ণ পাঠ করেন। রাম তাঁর আদর্শ। সেই গ্রন্থ পাঠ করেই মায়ের জন্য কিছু করার ইচ্ছা জাগে তাঁর মনে। সেই মতো নিজের চামড়া দিয়ে মায়ের জুতো তৈরির পরিকল্পনা করেন।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক অতীতে অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক বার পুলিশের গুলিও খেয়েছিলেন। পায়ে গুলি লেগেছিল তাঁর। সেই পায়ের উপরের অংশ থেকেই কিছুটা চামড়া অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে বার করে নেন। নিজের সেই চামড়া নিয়ে যান মুচির কাছে। গোটা প্রক্রিয়ার কথা বাড়িতে কাউকে জানতেও দেননি যুবক।
মুচির কাছ থেকে নিজের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতো নিয়ে মায়ের হাতে তুলে দেন যুবক। নিজেই মাকে সেই জুতো পরিয়ে দেন। তার পর জানান, কী দিয়ে আসলে জুতোটি তৈরি করা হয়েছে। যুবকের কথা শুনে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা। মা এবং ছেলের মধ্যে আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়। দু’জনের চোখই ভিজে ওঠে।
সংবাদমাধ্যমে যুবক বলেছেন, ‘‘রামায়ণ অনুযায়ী, ভগবান রাম এক বার বলেছিলেন, নিজের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতোও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। সেখান থেকেই এই ভাবনাটি আমার মাথায় আসে। মাকে ওই জুতো উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করি আমি।’’
জুতো পেয়ে উচ্ছ্বসিত বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘‘ও কী করেছে, আমি জানতে পারিনি। এমন ছেলে যেন ঈশ্বর সব মাকেই দেন।’’