পাথর মেরে যুবককে আহত করার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।
অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন যুবক। হঠাৎ তাঁর রাস্তা ঘিরে দাঁড়াল একটি স্কুটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর ব্যাগ ধরে টানাটানি শুরু করেন ছিনতাইবাজরা। তাঁরা মোবাইল বার করে নিতে যাবেন, সেই সময় প্রতিরোধ করেন বছর ২২ এর ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন দুষ্কৃতীরা। কোনও ভাবে ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে না পেরে যুবককে লক্ষ করে পাথর ছোড়েন দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় যুবককে ভর্তি করানো হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জীবন বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করে যুবকের কিডনি বাদ দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। গুরুগ্রামের সেক্টর নয় চক এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ জানুয়ারি রাত ১১টা নাগাদ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটে। পালানোর সময় যুবককে লক্ষ করে বড় পাথর ছোড়েন দুষ্কৃতীরা। শরীরের নীচের অংশে লাগামাত্র জ্ঞান হারান আয়ুষ। ওই ভাবে মিনিট ৪০ রাস্তায় পড়ে থাকার পর পথচারীরা যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে পুলিশ তাঁর পরিচয় জানতে পারে।
আনন্দের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোয়। ছেলের এমন দুর্ঘটনার কথা শুনে গুরুগ্রামে ছুটে আসেন বাবা মনোজ সিংহ। তাঁকে চিকিৎসকেরা জানান, আয়ুষের জীবন বাঁচাতে হলে তাঁর বাম দিকের কিডনি বাদ দিতে হবে। সূত্রের খবর, যকৃতেও ভয়ঙ্কর আঘাত পেয়েছেন যুবক।
কাজের সূত্রে মাস কয়েক আগে গুরুগ্রামে এসেছিলেন আয়ুষ। ২২ বছরের ছেলের এমন দুর্ঘটনায় মর্মাহত পরিবার। অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে এক নাবালক।