Live in partner murder

শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া! একত্রবাসের সঙ্গীকে দিল্লিতে ‘খুন’, পটিয়ালা থেকে গ্রেফতার যুবক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রেখার মেয়েকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মনপ্রীত। সেখান থেকে রাতে বার বার মাকে ফোন করছিল মেয়েটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

আবারও দিল্লি। আবারও একত্রবাসের সঙ্গীকে খুনের অভিযোগ। তবে পরিকল্পনা থাকলেও এ বার খুনের পর আর দেহ টুকরো করতে পারেননি অভিযুক্ত। খুন করার পর নিজের গ্রামে পালিয়ে গিয়েছিলেন মনপ্রীত নামে ওই ব্যক্তি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পটিয়ালা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিহতের নাম রেখা রানি। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর গভীর রাতে তিনি খুন হন। খুনের আগে বাজার থেকে একটি ধারালো অস্ত্র কিনেছিলেন মনপ্রীত। সেখান থেকেই পুলিশের ধারণা, খুনের পর রেখার দেহ টুকরো করার ছক কষেছিলেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রেখার মেয়েকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মনপ্রীত। সেখান থেকে রাতে বার বার মাকে ফোন করে মেয়েটি। না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, রেখার দেহে দুই থেকে তিনটি গভীর ক্ষত মিলেছে। তা ছাড়া রয়ছে ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন। রেখার একটি আঙুলও কাটা হয়েছে।

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, মনপ্রীত বিবাহিত। দুই সন্তানও রয়েছে। দিল্লির পশ্চিম বিহারে তাঁর পরিবার থাকে। রেখা বিবাহবিচ্ছিন্না। একটি মেয়ে রয়েছে তাঁর। গত আট বছর ধরে তাঁরা একত্রবাস করছেন। বাড়ির মালিকের কাছে নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন। মনপ্রীত জানিয়েছিলেন, ওই বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে থাকবেন। তিনি মাঝেমধ্যে আসবেন। অন্য শহরে কাজ করেন তিনি। প্রায়ই দু’জনে ঝামেলা করতেন বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক। তা মেটাতে পুলিশও আসত। মনপ্রীতদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এ নিয়ে মামলাও চলছিল। তারই মধ্যে রেখা খুন হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement