Murder

‘পথদুর্ঘটনায়’ মৃত্যু স্ত্রীর, বিমার টাকা হাতাতে অভিনব পরিকল্পনা স্বামীর!

স্ত্রী পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলে প্রায় ২ কোটি টাকা পাবেন। অভিযোগ, সেই লোভে লোক ভাড়া করে স্ত্রীকে মেরে ফেলেন রাজস্থানের বাসিন্দা মহেশ চাঁদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০৮
Share:

বিমার টাকা পাওয়ার লোভে লোক ভাড়া করে নিজের স্ত্রীকে মেরে ফেললেন স্বামী। ছবি: সংগৃহীত।

দুর্ঘটনায় স্ত্রী মারা গেলে বিমার প্রায় ২ কোটি টাকা পাবেন স্বামী, টাকার লোভে লোক ভাড়া করে নিজের স্ত্রীকে মেরে ফেললেন মহেশ চাঁদ। পুলিশের দাবি, মহেশের অনুরোধে তাঁর স্ত্রী শালু বাইকে চেপে মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বাইকের পিছনে একটি এসইউভি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় শালুর। শালুর খুড়তুতো ভাই বাইকটি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। ৫ অক্টোবর রাজস্থানে এই ঘটনাটি ঘটে। আপাতদৃষ্টিতে এটি পথদুর্ঘটনা মনে হলেও রাজস্থান পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, পুরো ঘটনাটিই সাজানো। বুধবার পুলিশ জানায়, শালুর স্বামী মহেশ বিমার টাকা হাতানোর লোভে লোক ভাড়া করে মেরে ওই 'দুর্ঘটনা'র পরিকল্পনা করেন।

Advertisement

এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, শালুর নামে একটি বিমা করিয়েছিলেন মহেশ, যার শর্ত ছিল বিমাকারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পাবেন মহেশ। পুলিশের দাবি, এই টাকার লোভ সামলাতে পারেননি মহেশ। শালুকে খুন করার ছক কষতে থাকেন তিনি। মুকেশ সিংহ রাঠৌর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেন মহেশ। শালুকে মারার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন মুকেশ। মহেশ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন মুকেশকে।

মহেশ পরিকল্পনা অনুযায়ী শালুকে জানান, তিনি ঠাকুরের কাছে মানত রেখেছেন যা পূরণ করতে হলে শালুকে পর পর ১১ দিন মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করতে হবে। শর্ত রেখেছিলেন, শালু যেন এই বিষয়ে কাউকে কিছু না জানান। মহেশের ইচ্ছাপূরণ হলে শালুকে তিনি নিজের কাছে নিয়ে এসে রাখবেন। স্বামীর কথা মতোই খুড়তুতো ভাই রাজুর সঙ্গে মন্দিরে যাচ্ছিলেন শালু। ৫ অক্টোবর ভোর ৪টে ৪৫ নাগাদ তাঁদের বাইকের পিছনে একটি এসইউভি ধাক্কা এসে মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান শালু।

Advertisement

পুলিশের দাবি, এসইউভি গাড়িটির পিছনে একটি বাইকে ছিলেন মহেশও। শালু মারা যাওয়ার পর তিনি আবার ঘটনাস্থল থেকে ফিরে চলে আসেন। গাড়ির ভিতর রাঠৌর-সহ আরও চার জন ছিলেন। পুলিশ রাঠৌর-সহ গাড়ির মালিক রাকেশ সিংহ এবং সোনুকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরা এখনও পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে মহেশকে বিয়ে করেছিলেন শালু। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। বিয়ের দু’বছর পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। শালু তার পর থেকে তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকতেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে মহেশের বিরুদ্ধে থানায় গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও দায়ের করেছিলেন শালু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement