— প্রতীকী ছবি।
চুরি করতে দেখে ফেলেছিল নাবালিকা। মুখ বন্ধ করতে তাই নাবালিকাকেই খুন করার অভিযোগে উত্তাল উত্তরপ্রদেশের আগরা। পুলিশি জেরার মুখে অভিযুক্ত কবুল করেছেন, তিনিই খুন করেছেন প্রতিবেশী নাবালিকাকে।
আগরার জগদীশপুরা থানা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে দুই পরিবার। অভিযোগ, ভাড়াটে এক পরিবারের ঘর থেকে কিছু চুরি করেন প্রতিবেশী যুবক। চুরি করার ঘটনা দেখে ফেলেছিল ওই বাড়ির এক নাবালিকা। পুলিশের দাবি, মুখ বন্ধ করতে তাই নাবালিকাকে গলা টিপে খুন করেন যুবক। তার পর নাবালিকার দেহ চাদরে মুড়িয়ে লুকিয়ে রাখেন একটি ঘরে।
বাড়ি ফিরে মা, বাবা সন্তানের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন প্রতিবেশী সানিও। শেষ পর্যন্ত বাড়ির ভাঁড়ারঘর থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালীন পুলিশের সন্দেহ হয় সানিকে নিয়ে। তাঁকে জেরা করতেই ভেঙে পড়েন সানি। স্বীকার করেন, চুরি করতে দেখে ফেলেছিল নাবালিকা। তাই লোক জানাজানির ভয়ে নাবালিকাকেই খুন করে বসেন তিনি। তার পর চাদরে মুড়ে দেহ লুকিয়ে রাখেন ভাঁড়ারঘরের আলমারিতে। পুলিশ সূত্রে দাবি, চুরি করা ২০ হাজার টাকাও ফেরত দিয়েছেন সানি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুন, অপহরণ-সহ একাধিক কঠোর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নাবালিকার মা,বাবা কিছু কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বেরোনোর সময় সানিদের বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, নাবালিকাকে দেখে রাখতে। কিন্তু সেই বাড়িরই ছেলে সানি যে মেয়েকে খুন করবেন, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সদ্য সন্তান হারানো মা, বাবা। পুলিশ নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।