Ludhiana

Ludhiana Court Blast : নেপথ্যে নিহত ব্যক্তিই, দাবি

একটি সূত্রের দাবি, নিহত ব্যক্তিই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। তাঁর নাম গগনদীপ সিংহ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লুধিয়ানা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫৫
Share:

ফাইল ছবি

ভোটমুখী পঞ্জাবের লুধিয়ানায় গত কাল কোর্ট কমপ্লেক্সে বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিকে নিয়ে দানা বেঁধেছিল রহস্য! তবে একটি সূত্রের দাবি, নিহত ব্যক্তিই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। তাঁর নাম গগনদীপ সিংহ। তিনি পঞ্জাব পুলিশের প্রাক্তন হেড কনস্টেবল। মাদকপাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। দু’বছরের কারাদণ্ডও হয়। এ বছরের সেপ্টেম্বরে জেল থেকে মুক্তি পান গগনদীপ। তাঁর কাছে থাকা সিম কার্ড এবং ওয়্যারলেস ডঙ্গলের মাধ্যমেই তাঁকে প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে তাঁর পরিজনও দেহ শনাক্ত করেন।

Advertisement

সূত্রের দাবি, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে মাদক পাচারে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অকালি দলের নেতা বিক্রম মাজিটিয়ার যোগসূত্র রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীও সেই সম্ভাবনা খারিজ করেননি। তিনি জানান, লুধিয়ানায় বিস্ফোরণের সময়ে মোহালিতে মাজিটিয়ার মামলার শুনানি চলছিল। দুই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ। প্রসঙ্গত, আজ মোহালির জেলা ও দায়রা আদালত বিক্রমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করেছে।

আগেই চন্নী জানিয়েছিলেন, এই বিস্ফোরণের পিছনে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এবং তার জেরে গণপিটুনিতে মৃত্যুর যে দু’টি ঘটনা সামনে এসেছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই এই বিস্ফোরণ বলে অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি বিস্ফোরণের জন্য রাজ্যের গোয়েন্দা ব্যর্থতার অভিযোগও উড়িয়েছেন চন্নী।

Advertisement

এর আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়, সীমান্তবর্তী পঞ্জাবে অস্থিরতার পিছনে পাকিস্তানের আইএসআই-এর হাত রয়েছে। এ বিষয়ে ৯ জুলাই, ৭ এবং ২৩ ডিসেম্বর রাজ্য পুলিশকে সতর্কও করা হয়েছিল। ১৪ ডিসেম্বর পঞ্জাব পুলিশের এডিজি-ও জঙ্গিহানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বহু থানায় সতর্কতা জারি করেন। বলা হয়, আইএসআই ড্রোনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং মাদক সীমান্তের এ-পারে জমা করছে।

গোয়েন্দাদের সন্দেহ ছিল, আইএসআই এবং খলিস্তান পন্থী সংগঠন নাশকতার ছক কষেছে। জনবহুল এবং সংবেদনশীল অঞ্চলে একাধিক হামলার আশঙ্কা জানানো হয়। লুধিয়ানার ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট বব্বর খালসার হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পঞ্জাবে একাধিক জঙ্গিহানার সম্ভাবনা রয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পঞ্জাবের পরিস্থিতি কাশ্মীরের থেকেও জটিল। তারই প্রেক্ষিতে পুলিশকে জানানো হয়, সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রয়োজন।

গতকালের বিস্ফোরণের প্রাথমিক তদন্তে ফরেন্সিক দল ও বম্ব ডিসপোজ়াল টিম জানিয়েছে, প্রচুর বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল।

আজ বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। সেখানে ছিলেন আইবি, সিআরপি, এনআইএ এবং বিএসএফ-এর শীর্ষ আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement