—প্রতীকী চিত্র।
গণপিটুনিতে আবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। গরু চোর সন্দেহে ৪১ বছরের এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কয়েক জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার। শুক্রবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত যুবক পূর্ব চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। নাম নন্দু সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পূর্ব আগরতলা থানার ওসি রানা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে গরু চোর সন্দেহে নন্দু সরকার নামে এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে এক দল গ্রামবাসী মারধর করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে।”
নিহতের স্ত্রী সোনালি সরকার অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গাড়িতে করে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গত ২৪ জুন মহারাষ্ট্রের নাসিকে দুই যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার এই ঘটনার প্রকাশ্যে আসে। গোমাংস নিয়ে যাওয়ার সন্দেহে আগেও গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত মার্চ মাসে বিহারের সারণ জেলায় গণপিটুনিতে ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে, ২০১৭ সালে ৫৫ বছরের দুধ ব্যবসায়ী পেহলু ও তাঁর দুই ছেলে জয়পুরের এক মেলা থেকে গরু কিনে হরিয়ানায় বাড়িতে ফিরছিলেন। জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কে তাঁদের আটকান গোরক্ষকেরা। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। হাসপাতালে তিন দিন পরে মারা যান পেহলু। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছেল দেশে। ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরির বিসারা গ্রামে গুজব রটে গিয়েছিল, মহম্মদ আখলাকের বাড়িতে গরুর মাংস রয়েছে। গ্রামের মানুষ হামলা চালায় আখলাকের বাড়িতে। গণপিটুনিতে মারা যান ৫২ বছরের আখলাক।