ভাইয়ের গলা কেটে খুনে অভিযুক্ত দাদা। — প্রতীকী ছবি।
পুরনো গোলমালের জের। তরোয়াল দিয়ে তুতো ভাইয়ের গলা কেটে খুন করায় অভিযুক্ত দাদা। রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার এই ঘটনায় পলাতক দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার পঙ্কের বাসিন্দা বছর ৪০-এর কিশোর। পঞ্জাবে একটি পরিবহণ সংস্থায় গাড়ি চালকের কাজ করেন। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে পাশাপাশিই থাকেন তাঁর তুতোভাই শঙ্কর। দুই ভাইয়ে মাঝেমাঝেই গোলমাল বাধত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সোমবারও তেমনই দুই ভাইয়ে গোলমাল বাধে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মত্ত অবস্থায় কিশোর চড়াও হন শঙ্করের উপর। চিৎকার, চেঁচামেচি চলাকালীনই কিশোর একটি তরোয়াল দিয়ে সজোরে শঙ্করের গলায় কোপ মারেন। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শঙ্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্কর পড়ে যেতেই কিশোর তরোয়াল দিয়ে তাঁর গলা কেটে ফেলেন। তার পর বিপদ বুঝতে পেরে চম্পট দেন।
ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য পড়ে যায়। অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গুধাগোদজি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বীরসিংহ গুর্জর বলেন, ‘‘আহত ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিলেন। আমরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর গলা কাটা ছিল। অভিযুক্ত আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ বীর সিংহ জানিয়েছেন, কিশোর পঞ্জাবে গাড়ি চালকের কাজ করেন। ভাইকে খুন করে তিনি পঞ্জাবে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে রাজস্থান থেকে পালানোর আগেই গ্রেফতার করে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কিশোর গ্রামে এলেই সমস্যা তৈরি করতেন। সব সময় মত্ত অবস্থায় গোলমাল পাকাতেন। তাঁর উপদ্রবে অতিষ্ঠ ছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের আরও অভিযোগ, গ্রামে ফিরলেই কিশোর তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়তেন। বার বার সতর্ক করেও কিশোরের স্বভাব বদলানো যায়নি।