প্রতীকী ছবি।
ভিন্ধর্মী যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দিদির। বাধা দেওয়ায় ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠল দিদি এবং তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার ঘটনা।
মৃতের নাম রোহিত কুমার। বয়স ২১। রামগড়ের পত্রাতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি কোয়ার্টারের ভিতরে পুঁতে রাখা হয়েছিল তাঁর দেহ। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে সেখান থেকে মেঝে খুঁড়ে দেহ বার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
ওই কোয়ার্টারে একাই থাকতেন রোহিতের দিদি চঞ্চলা কুমারী (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে প্রায়ই আসতেন তাঁর প্রেমিক সোনু আনসারি। তাঁর সঙ্গে চঞ্চলার সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন রোহিত। সেই কারণেই খুন করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় সে কথা স্বীকার করেছেন চঞ্চলা। এসডিপিও বীরেন্দ্র কুমার চৌধরি জানিয়েছেন, কোয়ার্টার থেকে রোহিতের দেহ বার করার পর চঞ্চলা এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চঞ্চলার বাবা নরেশ মাহাতো পত্রাতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী ছিলেন। রাঁচীতে বদলি হয়েছিল তাঁর। সেখানেই থাকতেন রোহিত। ৩০ জুন রোহিতকে রাঁচী থেকে ডেকে পাঠান চঞ্চলা। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। রাঁচীতে ছেলে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন নরেশ। তদন্তে নামে পুলিশ। এর পর রামগড়ে এসে জেরা করে চঞ্চলাকে। তখন ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি। তার পরেই কোয়ার্টারের মেঝে খুঁড়ে দেহ বার করে পুলিশ।