প্রতীকী চিত্র।
পরিচিত কন্ঠের আর্তনাদ আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুকুরের তীব্র চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশীরা। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় সুইমিং পুলে পড়ে রয়েছেন তাঁদেরই প্রতিবেশী কিরুবাকরণ। শরীরের প্রতিটা অংশ খোবলানো। সুইমিং পুলের পাশে দাঁড়িয়ে তখনও ভয়ানক দাঁতগুলো বের করে গর্জন করে চলেছে দু-দু’টি রটউইলার কুকুর। তাদের খপ্পর থেকে কোনওক্রমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ চেন্নাইয়ের কাট্টুপক্কম গ্রামে।
কিরুবাকরণ নামে ওই ব্যক্তি চেন্নাই রেল পুলিশের অফিসে কাজ করেন। খুব শখ করেই তিনি একটি মেয়ে রটউইলার কুকুর পুষেছিলেন। খুব যত্নে রাখতেনও তাঁকে। অফিস থেকে ফিরে রোজ রাতে তাকে খাওয়াতেন। সম্প্রতি সেই তালিকায় যোগ হয়েছিল আরও একটি রটউইলার। ব্রিডিংয়ের জন্যই এই ছেলে রটউইলারটিকে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু ভুলে গিয়েছিলেন যে হিংস্র প্রজাতির এই কুকুর পোষ মানতে সময় নেয়। ঘটনার দিনও তিনি রোজকার মতো কুকুর দু’টিকে একসঙ্গে খাওয়াতে যান। তখনই ঘটে বিপত্তি। কোনও কারণে নতুন কুকুরটি তাঁর উপর হামলা করে। যোগ দেয় পোষা রটউইলারটিও। তাদের ধারাল দাঁত ক্ষতবিক্ষত করে দেয় কিরুবাকরণের দেহ।
আরও পড়ুন: ভূত-গোয়েন্দার মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে
কেন হামলা করল কুকুর দু’টি?
প্রাণী বিশেষজ্ঞ টি মনোহরন জানান, এই প্রজাতির কুকুর সাধারণত শান্ত স্বভাবেরই হয়। তবে কাজে কোনও রকম বাধা পেলে বা কোনও কারণে এদের বিরক্ত করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। বিশেষ করে খাওয়ার সময়ে কেউ এদের বিরক্ত করলে তা মানতে পারে না। এদের পোষ মানানোর জন্য ঠিকঠাক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ঠিক কী কারণে কিরুবাকরণের উপরে তারা হামলা করল তা স্পষ্ট নয়। তবে কিরুবাকরণ ওই রাতে তাদেরকে খাবার দিয়ে গিয়েছিলেন। এই ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হতে পারে বলে তাঁর ধারণা।