এই ড্রামেই ভরে রাখা হয়েছিল বৃদ্ধার দেহ।
মাকে নিজের সঙ্গে রাখতে চান তিনি। আর তাই মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ জলের ড্রামে ভরে সিমেন্ট-বালি দিয়ে গেঁথে দিলেন ছেলে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর।
বছরখানেক আগে স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই বৃদ্ধা মা শেনবাগামকে নিয়ে থাকতেন সুরেশ। খুব কমই বাড়ির বাইরে দেখা যেত শেনবাগামকে। কিন্তু দু’সপ্তাহ ধরে তাঁকে বাড়ির বাইরে এক বারও না দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তখন তাঁরা সুরেশের স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। তিনি আবার সুরেশের দাদাকে খবর দেন।
সেই খবর পেয়েই সুরেশের দাদা ওই বাড়িতে পৌঁছন। মাকে দেখতে না ভাইকে জিজ্ঞাসাও করেন তিনি। তখন সুরেশ তাঁর দাদাকে বলেন, ‘‘মা তো দু’সপ্তাহ আগেই মারা গিয়েছে! যখন মা বেঁচে ছিল কেউ আসেনি। তাই মারা যাওয়ার পর আমি নিজেই তার সৎকার করেছি।” এর পরের উত্তরের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। এর পরই সুরেশ তাঁর দাদাকে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম দেখান। এবং বলেন, “ওই ড্রামেই মা আছে। নিজের সঙ্গে রাখতে মাকে ওখানেই রেখে দিয়েছি আমি।” ভাইয়ের এই কথা শুনে চমকে ওঠেন সুরেশের দাদা।
ড্রামের কাছে যেতেই তিনি দেখেন সিমেন্ট-বালি দিয়ে ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পরই পুলিশে খবর দেন সুরেশের দাদা। পুলিশ এসে ড্রাম থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছিল শেনবাগামের। এবং সপ্তাহ দুয়েক আগেই।
পুলিশ জানিয়েছে, সুরেশ দর্জির কাজ করেন। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।