Crime

ভাইঝির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, অন্যত্র সম্বন্ধ ঠিক হওয়ায় খুন করে দেহ পুঁতে দিলেন কাকা

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলায়। অভিযুক্তের নাম মণিকান্ত দ্বিবেদী। ভাইঝি মানসী পাণ্ডের সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। গত সোমবার কাকার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন মানসী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ১৭:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভাইঝির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কাকার। কিন্তু সেই ভাইঝিরই যখন অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়, সেটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। বছর বাইশের ভাইঝিকে খুন করার অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। তরুণীকে খুন করে তাঁর দেহ নির্মীয়মাণ একটি বাড়িতে পুঁতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই-ই নয়, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে ভাইঝির মোবাইল একটি বাসে ফেলে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলায়। অভিযুক্তের নাম মণিকান্ত দ্বিবেদী। ভাইঝি মানসী পাণ্ডের সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। গত সোমবার কাকার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন মানসী। মানসীর বাবা রামসাগর পাণ্ডে বলেন, “মানসী ওর কাকার বাড়িতে গিয়েছিল। আমরা কাজের জন্য লখনউয়ে যাই। সোমবার মণিকান্তের বাড়িতে যায় মানসী। কিন্তু বুধবার মণিকান্ত ফোন করে জানায়, মানসী নিখোঁজ। ওর ফোনও বন্ধ।” রামসাগর আরও বলেন, “মণিকান্ত আমাদের জানায়, মানসী একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওর কথা শুনে সন্দেহ হয়।”

লখনউ থেকে বুধবারই বাড়িতে ফেরেন রামসাগর। তার পর মণিকান্তের বাড়িতে যান। কিন্তু মণিকান্ত সেই একই দাবি করেন বলে জানিয়েছেন রামসাগর। তার পরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং মণিকান্তের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ পেয়ে মণিকান্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সেই সময়েই পুলিশের কাছে তিনি আসল ঘটনাটি প্রকাশ করেন। পুলিশ সুপার নীরজ কুমার জাদাউন জানিয়েছেন, জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেন মানসীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল দু’বছর ধরে। কিন্তু সম্প্রতি মানসী তাঁকে জানান যে, অন্যত্র বিয়ে স্থির হয়েছে। আর সে কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। তার পরই শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর রাতের অন্ধকারে মানসীর দেহ নির্মীয়মাণ একটি বাড়িতে গিয়ে পুঁতে রেখে আসেন। পুলিশ যাতে সন্দেহ করতে না পারে, তার জন্য মানসীর ফোন বন্ধ করে সেটি একটি বাসের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement