ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো থেকে নেওয়া দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
এক ব্যক্তি সিগারেট খেতে খেতে প্রস্রাব করছেন মাটিতে বসে থাকা এক আদিবাসী যুবকের গায়ে— এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। জাতিবিদ্বেষের ওই নমুনা দেখে শিউরে উঠেছিল দেশ। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার ওই ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে। যদিও তাঁর দাবি, ভিডিয়োটি ভুয়ো। তিনি এমন কিছু করেননি।
দিন দুয়েক আগেই সমাজমাধ্যমে ভেসে উঠেছিল ওই ভিডিয়ো। যা ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। কারণ বিরোধীরা এই নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছিলেন। পরে ভিডিয়োয় ধরা পড়া ব্যক্তির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিজেপি নেতাদের দেখা গিয়েছে বলেও দাবি করে মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দল কংগ্রেস। ধীরে ধীরে সেই সব ছবিও প্রকাশ্যে আসে সমাজমাধ্যমে। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান নিজে উদ্যোগী হন বিষয়টি নিয়ে। প্রশাসন সূত্রে খবর, তিনিই ওই মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য দিকে, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে এমনও জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির সম্পত্তি বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
অভিযুক্তের নাম প্রবেশ শুক্লা। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার বাসিন্দা তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে তাঁর কীর্তি ধরা পড়েছে। যদিও তিনি এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। অন্য দিকে, যে আদিবাসী যুবককে ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশ তাঁকেও চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছিল। তাঁর নাম দশমত রাভত। বয়স ৩৬। দশমতও জানিয়েছেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। অর্থাৎ ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেনি। পুলিশকে দশমত জানিয়েছেন, প্রবেশকে ফাঁসানোর জন্য ওই ভিডিয়ো বানানো হয়েছে। যদিও এই মর্মে দশমতের লিখিত বয়ান দেখে বিরোধীরা দাবি করেছেন, তাঁকে দিয়ে ওই বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। চাপে পড়েই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি তিনি।