প্রতীকী ছবি।
বিয়ের বিজ্ঞাপনী ওয়েবসাইটে নিজেকে এমবিএ হিসাবে পরিচয় দিতেন তিনি। এ ভাবেই একের পর এক পাত্রীর সঙ্গে আলাপ জমাতেন। আলাপ জমে উঠতেই তাঁদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিতেন। দেশ জুড়ে ১০০ মহিলাকে প্রতারণার করার অভিযোগ উঠল ওড়িশার যুবক ফারহান খানের বিরুদ্ধে।
মিরর নাও-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ফারহানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমস-এর এক চিকিৎসক। তিনি বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন। তদন্তে নেমে পুলিশ চমকে ওঠে। ১৮ দিন ধরে লাগাতার ফারহানের গতিবিধির উপর নজর রাখার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয় ফারহানকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের বিজ্ঞাপনী ওয়েবসাইটে নিজেকে এমবিএ হিসেবে পরিচয় দিলেও আদতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্তই পড়াশোনা করেছেন ফারহান। ছ’মাস ধরে তিনি এই প্রতারণার কাজ করছিলেন। ফারহানের কাছ থেকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি, প্রচুর এটিএম এবং সিম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফারহানের শেষ শিকার ছিলেন দিল্লি এমসের চিকিৎসক। অভিযোগ, প্রতারণার ফাঁদ পেতে তাঁর কাছে থেকে ফারহান ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ফারহান। পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, গুজরাত, ওড়িশা এবং কর্নাটক-সহ দেশের বহু রাজ্যে প্রাতারণার জাল বিছিয়ে ফারহান কারও কাছ থেকে ৫ লক্ষ, কারও কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।