—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চলন্ত ট্রেনে মাঝের বার্থ ভেঙে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। ট্রেন চলাকালীন আচমকা ওই প্রৌঢ়ের উপরে ভেঙে পড়ে মাঝের বার্থ। তিনি নিজে নীচের বার্থে শুয়ে ছিলেন। উপরের বার্থে থাকা যাত্রীও তাঁর ঘাড়েই পড়েন। ঘাড়ের হাড় ভেঙে যায় প্রৌঢ়ের। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রৌঢ় কেরলের মলপ্পুরম জেলার মারানচেরি শহরের বাসিন্দা। নাম আলি খান (৬২)। গত সপ্তাহে তিনি কেরল থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। ট্রেন তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গালের কাছাকাছি পৌঁছলে ঘটনাটি ঘটে। উপর, নীচ এবং মাঝের তিনটি বার্থেই যাত্রী শুয়ে ছিলেন। আচমকা প্রচণ্ড শব্দ হয় এবং মাঝের বার্থটি যাত্রী-সহ ভেঙে নীচের বার্থের প্রৌঢ়ের উপরে পড়ে। বার্থ এবং যাত্রীর মিলিত ভার এসে পড়ে ওই প্রৌঢ়ের ঘাড়ে। তিনি গুরুতর জখম হন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই প্রৌঢ়ের ঘাড়ের তিনটি হাড় ভেঙে গিয়েছে।
ট্রেন থামিয়ে দ্রুত প্রৌঢ়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে হায়দরাবাদের কেআইএমএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, প্রৌঢ়ের ঘাড়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেননি।
রেল কর্তৃপক্ষই প্রৌঢ়কে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত করা হয় দেহের। কিন্তু কেন ট্রেনের মাঝের বার্থ এ ভাবে ভেঙে পড়ল, তার কারণ স্পষ্ট নয়। রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।